‘পেগাসাস! মোদীর নাভিশ্বাস’ একুশের মঞ্চে মোদী হঠাও এর ডাক মমতার
আজ ২১ জুলাই। তৃণমূলের বার্ষিক শহিদ তর্পণ পর্ব। করোনা প্রকোপের জেরে গত বছর কর্মী-সমর্থকদের কাছে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পৌঁছেছিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। সেবারের বার্তা ছিল, বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য রক্ষার লড়াইয়ে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার। ‘মিশন-২০২৪’কে সামনে রেখে এবারে কী বার্তা দেন মমতা, গোটা দেশের নজর সেই দিকেই। রাজনৈতিক মহলের ধর্ণা, আজ মোদী হটানোরই ডাক দেবেন নেত্রী।
নেত্রীর বার্তা আম জনতার দরবারের পৌঁছে দিতে প্রস্তুত হয়েছে বরোদা, আমেদাবাদ, সুরাত, লখনউ, প্রয়াগরাজ, কানপুর, কোকরাঝাড়, বেরিলি, গুয়াহাটি, শিলচর, চেন্নাই, মাদুরাই সহ দেশের আরও বিস্তর প্রান্ত। মাল্টি লিঙ্গুয়াল সাব টাইটেল ব্যবহার করা হচ্ছে ভাষণের সম্প্রসারণে। যাতে তা বোধগম্য হয় আসমুদ্রহিমাচলের।
এক নজরে নেত্রীর বার্তা:
৩:০৩: এই চেয়ারটা মানুষের। টাকা দিয়ে এই চেয়ারে বেশিদিন থাকা যায় না। ভালোবাসা দিয়ে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে হয়।
৩:০২: আসুন আমরা জোট বেঁধে এগিয়ে চলি, সারাদেশকে আশার আলো দেখাই। সমাজের সব শ্রেণীর মানুষ আজ কষ্ট পাচ্ছে। আমি একজন কর্মীর মতো আপনাদের কথা মতো কাজ করব।
৩:০১: মা বোনেরা আমাদের নির্বাচনে জিতিয়েছেন। তাদের সংগঠনে গুরুত্ব দিতে হবে।
৩:০০: অনেক গদ্দার বড় বড় কথা বলছে। এদের মানুষ রাজনৈতিকভাবে বিদায় দেবে। বিজেপি সভ্যতা জানেনা, মানবিকতা জানেনা।
২:৫৯: আমরা হারবো না, আমরা ভয় পাবো না, আমরা মাথা নত করব না, আমরা লড়বো, আমরা গড়বো।
২:৫৮: আমি সকল রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, ছাত্র যুব সমাজকে ও আবেদন করব আন্দোলনে নামতে। আন্দোলনই আমাদের জীবন।
২:৫৭: পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ার প্রতিবাদে, পেগাসাস ইস্যুতে প্রতিবাদ করতে হবে।
২:৫৬: আমরা ভেবেছিলাম এই বছর বড় করে একুশে জুলাই সমাবেশ করব যাতে ৫০ লক্ষ মানুষ আসতে পারেন। কিন্তু করোনা মহামারির এর কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।
২:৫৫: মোদীজি মন কি বাত শুধু ভাষণ দেওয়ার জন্য না করে বিরোধীদের কথাও একটু শুনুন। দেশের মানুষের মনের কথা শুনুন।
২:৫৩: বাংলায় দরিদ্র ৪০% কমেছে। দেশে যখন অরাজকতা চলছে, বাংলা দিশা দেখাচ্ছে।
২:৫২: গুজরাট কোনও মডেল না। বাংলাই মডেল।
২:৫০: আমরা বিনামূল্যে রেশন দিই, স্বাস্থ্য সাথীর মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিই, আমরা ১০ লক্ষ
২:৪৮: আমরা সমাজের সব অংশের মানুষের জন্য কাজ করি। ওরা শুধু বিভাজনে বিশ্বাসী। ভারতের দরকার মানুষের উন্নয়ন। ওরা সেই সব কিছুই করেনি। আর যারা কাজ করে তাদের করতে দেয় না ওরা। প্রধানমন্ত্রীকে বলব আমাদের কাজ করতে দিন, বিরক্ত করবেন না।
২:৪৭: এটা রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস, গান্ধী, নেহেরুর ভূমি।
২:৪৬: বিজেপি উন্নয়ন চায় না। ওরা শুধু ধ্বংস চায়, বিভাজন চায়।
২:৪৫: সারাদেশের মানুষ বাংলার দিকে তাকিয়ে ছিল। আমি আপনাদের সালাম ও প্রণাম জানাই। বাংলার মানুষ আমাদের আবার তাদের জন্য কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। উন্নয়নের বিকল্প নেই।
২:৪৪: মোদি বাবু আর অমিত সাহা মিলে শুধু এজেন্সি দিয়ে রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরক্ত করে। মানুষ কি চাইছে সে ব্যাপারে তাদের মাথাব্যাথা নেই।
২:৪৩: তৃতীয় ঢেউ আসছে। ওরা কোন পরিকল্পনায় করেনি। বাজারে টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। এই হারে টিকাকরণ চললে কত বছরে টিকাকরণ সম্পূর্ণ হবে?
২:৪২: ওরা মানবিকতা কাকে বলে জানে না। শুধু এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখায়।
২:৪০: মূল্যবৃদ্ধি আজ আকাশ ছোঁয়া, বেকারত্ব বাড়ছে, পরিযায়ী শ্রমিকরা কাঁদছে। মহিলারা নিরাপদ নন, শিল্প আজ তলানিতে। ধনীরা খাজনা বাঁচাবে আর কৃষকরা মৃত্যুবরণ করবে?
২:৩৯: দেশকে বাচাতে পারে বিচার ব্যবস্থা, দেশের জনগণ, দেশের রাজনৈতিক দলগুলি।
২:৩৮: আমি সুপ্রিম কোর্টকে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নিতে বলবো। বিচারপতিদের ফোনও ট্যাপ হচ্ছে। গণতন্ত্রকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান।
২:৩৭: করোনার চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর ভাইরাস বিজেপি। গুলি আর গালির রাজনীতি চলছে দেশে। বলছে, যা করেছি, বেশ করেছি।
২:৩৬: দেশে আজ ব্যক্তি স্বাধীনতা বিপন্ন। ওদের নিজের মন্ত্রীদের ওপর নজরদারি চলছে। কেন্দ্রীয় এজন্সি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। আর যদি এত বড় নেতা হয়েছে যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সিলেবাস থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে।
২:৩৫: একটা খেলা হয়েছে। খেলা আবার হবে। ততদিন বিজেপিকে দেশ থেকে আমরা বিতাড়িত করতে না পারি, ততদিন রাজ্যে রাজ্যে খেলা হবে। আমরা বাংলায় একটা দিন খেলা দিবস হিসেবে পালিত করব।
২:৩৩: আমি বাংলার মা, বোন, ভাইদের প্রণাম ও সালাম জানাচ্ছি। আমি হুইলচেয়ার করে প্রচার করেছি। যেখানেই গিয়েছি আপনারা বিপুল সংখ্যায় যোগ দিয়েছেন। বিপুল ভোট দিয়ে আমাদের জিতিয়েছেন।
২:৩২: সংসদের বাদল অধিবেশন চলছে। আমি দিল্লি যাচ্ছি। আমি শরদ পাওয়ার জি কে অনুরোধ করবো বিরোধী দলগুলির একটি বৈঠক ডাকতে। আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
২:৩১: ওরা ভেবেছিল পেগাসাস ব্যবহার করে বাংলা দখল করবে। বাংলার মানুষ ওদের উচিৎ শিক্ষা দিয়েছে। বাংলা করে দেখিয়েছে। বাকি রাজ্যগুলোকেও ওদের রুখতে হবে।
২:৩০: কোভিড ব্যবস্থাপনায় বিশাল ব্যর্থতার নজির কেন্দ্রের।
২:২৯: কোভিডের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে। মৃতদেহ কে সম্মান জানাতে দেওয়া হয় না, গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়। আর প্রধানমন্ত্রী বলছে উত্তরপ্রদেশ নাকি সেরা রাজ্য? লজ্জা লাগেনা?
২:২৮: আমাদের দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের দেশকে বাঁচাতে হবে।
২:২৭: কন্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে, বাঁশি সংগীতহারা, অমাবস্যার কারা….
২:২৬: নির্বাচন, সংবাদমাধ্যম, বিচারব্যবস্থা- সবকিছু দখল করছে ওরা। গণতন্ত্রের বদলে গোয়েন্দাগিরি চলছে। সব মুখ বন্ধ করে দিতে চাইছে।
২:২৫: দেশ বরবাদ হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উপর প্লাস্টার লাগাতে হবে। এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের উপরেও নজরদারি হচ্ছে।
২:২৫: গ্যাসের দাম দু’মাসে ৪৭ বার বেড়েছে। পেট্রোল-ডিজেলের কর থেকে ৩.৭৪ লাখ কোটি টাকা লাভ করেছে কেন্দ্র। আর এই টাকা যাচ্ছে কোথায়? পেগাসাসের জন্য?
২:২৪: গরিব মানুষকে টাকা না দিয়ে তারা কোটি কোটি টাকা খরচ করছে পেগাসাস এর মাধ্যমে কোন ট্যাপ করতে।
২:২৩: আমাদের ফোন ট্যাপ হচ্ছে। পেগাসাস খুব ভয়ঙ্কর। দেশে স্বৈরতন্ত্র চলছে। আমি বিরোধী নেতাদের সাথে কথা বলতে পারিনা।
২:২২: বিজেপির কিছু সদস্য মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হয়ে একটি নেতিবাচক রিপোর্ট দিয়েছে। কোনও নির্বাচন পরবর্তী হিংসা হয়নি। নির্বাচনের সময় আমাদের সব অফিসার বদলি করে দিয়েছিল।
২:২১: ত্রিপুরায় আমি শুনলাম আমাদের আজকের প্রোগ্রাম করতে দেওয়া হয়নি। বিজেপি অন্য দলকে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে দেয় না।
২:২০: নিত্য যাত্রীর মত দিল্লির নেতারা আমাদের রাজ্যে আসতেন। তবুও আমরা মানুষের আশীর্বাদে নির্বাচনে জিতেছি। আমি পিকে এবং আইপ্যাককেও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
২:১৯: আমি মা-মাটি-মানুষকে আমার প্রণাম ও সালাম জানাই। টাকা ও পেশীশক্তির পাওয়ার কে চুরমার করে দিয়ে আপনারা তৃতীয় বারের জন্য আমাদের ক্ষমতায় এনেছেন। এই আশীর্বাদ, প্রেরণা মানুষের কাছ থেকে আমাদের পাওয়া।
২:১৮: আমি মূলত বাংলাতেই বলবো। শেষে হিন্দি ও ইংরেজিতে বলবো।
২:১৫: বক্তব্য শুরু করলেন মমতা ব্যানার্জি। দিল্লিতে উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ কে সম্মোধন করছেন তিনি।