জায়ান্ট স্ক্রিন সরবরাহে বাধা, ত্রিপুরায় দেখা যাবে না মমতার ভাষণ?
অপ্রত্যাশিত ভাবে ২১ জুলাইয়ের আগে ২০-তেই ত্রিপুরায় (Tripura) ধাক্কা খেতে হল তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC)। জানা গিয়েছে, সেরাজ্যের জায়ান্ট স্ক্রিন অ্যাসোসিয়েশন হঠাতই স্ক্রিন সরবরাহ করতে অস্বীকার করে। জেলাশাসকের লিখিত অনুমতির দাবি করা হয় জায়ান্ট স্ক্রিন সরবরাহের আগে। এই জটিলতা রাত পর্যন্ত চলতে থাকে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শেষ ঘণ্টায় প্রোজেক্টারের মাধ্যমেই মমতার ভাষণ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের সংগঠন।
করোনা (COVID19) আবহে গত বছরের মতো এই বছরও ভার্চুয়ালি পালিত হবে তৃণমূলের শহিদ দিবস। ধর্মতলা থেকে পার্কস্ট্রিট পর্যন্ত সেই ভিড়ের চেনা ছবি এবারও দেখা যাবে না। তবে এবারে ২১ জুলাইয়ের পরিধি বেড়েছে। ২০২৪-এর লক্ষ্যেই শহিদ দিবসের এই অনুষ্ঠান বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, ত্রিপুরা, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে। এরমধ্যে ত্রিপুরা বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্য হওয়ায় সেই রাজ্য নিয়ে বিশেষ উত্সাহ রয়েছে ঘাসফুল শিবিরে। সেই রাজ্যেই শেষ মুহূর্তে এই ধাক্কা দলের পক্ষে হজম করা একটু হলে কঠিন হতে পারে।
জানা গিয়েছে, আগরতলায় কোভিড বিধি মেনেই তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাষণ শোনানোর বন্দোবস্ত হয়। তবে এর মধ্যেও অভিযোগ উঠল, তৃণমূলকে জায়ান্ট স্ক্রিন সরবরাহ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে অ্যাসোসিয়েশনকে। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় দলের রাজ্য সভাপতি আশীষ লাল সিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে তাই বিকল্প হিসেবে পর্দা ও প্রোজেক্টরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় আগরতলা ছাড়াও ধর্মনগর এবং উদয়পুরের মতো জেলায় তৃণমূল একাধিক কর্মসূচি পালন করবে শহিদ দিবস উপলক্ষে। তবে জায়ান্ট স্ক্রিন নিয়ে এই শেষ মুহূর্তের ধাক্কায় নাজেহাল হতে হয় ঘাসফুল শিবিরকে। কোনও ভাবেই জায়ান্ট স্ক্রিন জোগাড় করতে না পারায় প্রোজেক্টরই এখন ভরসা তৃণমূলের। প্রসঙ্গত, এবারে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের দুর্দান্ত জয় একলাফে মমতাকে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে মোদী বিরোধী গাড়ির চালকের আসনে বসিয়ে দিয়েছে। তাই এখন থেকেই ২০২৪-এর ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে তৃণমূল। আর সেই রণকৌশলে ত্রিপুরা একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।