আজ শহিদ দিবস, কী বার্তা দেবেন মমতা?
মোদী-শাহের আগ্রাসন রুখে গোটা দেশের বিরোধী শিবিরের মধ্যমণি এখন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গোটা দেশের বিরোধী রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরেই। এই প্রেক্ষিতে আজ, ২১ জুলাই, তৃণমূলের বার্ষিক শহিদ তর্পণ পর্ব। করোনা প্রকোপের জেরে গত বছর কর্মী-সমর্থকদের কাছে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পৌঁছেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেবারের বার্তা ছিল, বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য রক্ষার লড়াইয়ে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার। ‘মিশন-২০২৪’কে সামনে রেখে আর এবারের আহ্বান—বিজেপির ভ্রান্ত নীতির জেরে বিপর্যস্ত দেশ এবং বিপন্ন হওয়া ব্যক্তি স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনে মুক্ত বাতাবরণে নিঃশ্বাস নেওয়ার। এককথায় আজ মোদী হটানোরই ডাক দেবেন নেত্রী।
‘অব কী বার, ২০০ পার’—গেরুয়া শিবিরের স্বপ্নভঙ্গ করে বঙ্গবিজয়ের পরে মমতার আঙ্গিক এখন সর্বভারতীয় রাজনীতি। বিরোধী শিবিরের প্রধান মুখ মমতা সেই প্রেক্ষিতকে সামনে রেখেই আজ বার্তা দেবেন গোটা দেশের কাছে। কচ্ছ থেকে করিমগঞ্জ, দিল্লি থেকে মাদুরাই, রাঁচি থেকে রাউরকেল্লা, লখনউ থেকে শিলিগুড়ি—সেই ভার্চুয়াল মাধ্যমেই আম জনতার কাছে পৌঁছবেন ‘বাঙ্গাল কা শেরনি’। ডাক দেবেন কেন্দ্র থেকে মোদি সরকারের অপসারণের। আহ্বান জানাবেন, গেরুয়া আগ্রাসনে বিপর্যস্ত দেশকে বাঁচাতে অসাম্প্রদায়িক-জাতীয়তাবাদী সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে জোট বাঁধার। সবমিলিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপটে তৃণমূল সুপ্রিমোর কথা শুনতে কার্যত মুখিয়ে দেশের বিরোধী শিবির।
দুপুর দুটোয় মমতা বক্তৃতা দেবেন ভার্চুয়ালি। নেত্রীর বার্তা আম জনতার দরবারের পৌঁছে দিতে প্রস্তুত হয়েছে বরোদা, আমেদাবাদ, সুরাত, লখনউ, প্রয়াগরাজ, কানপুর, কোকরাঝাড়, বেরিলি, গুয়াহাটি, শিলচর, চেন্নাই, মাদুরাই সহ দেশের আরও বিস্তর প্রান্ত। মাল্টি লিঙ্গুয়াল সাব টাইটেল ব্যবহার করা হচ্ছে ভাষণের সম্প্রসারণে। যাতে তা বোধগম্য হয় আসমুদ্রহিমাচলের। দু’টি পর্যায়ে শহিদ তর্পণ সারবে তৃণমূল(Trinamool)। বেলা সাড়ে ১২টায় ধর্মতলায় শহিদ বেদিতে মাল্যদান ও পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে সেই কর্মসূচি। ঠিক ওই সময়েই রাজ্যের মোট ১ লক্ষ ১৭৯০টি বুথে ৫০ জন করে কর্মী পালন করবেন বার্ষিক শহিদ তর্পণ। তারপর দ্বিতীয় পর্যায়ে নেত্রীর ভাষণ।