পেগাসাস কাণ্ডে বাড়ছে উত্তাপ, এবার সংসদীয় কমিটিতেও পড়তে চলেছে আঁচ
দেশজুড়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে স্পেগাসাস (Pegasus) স্পাইওয়্যার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, বিরোধী নেতা-নেত্রী, কেন্দ্রের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে শুরু করে সাংবাদিক- ইজরায়েলি এই স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে ভারতে একাধিক ব্যক্তির ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ সামনে আসার পরই উত্তাল দেশ। আর এই পরিস্থিতিতে পেগাসাস-কাণ্ড নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত স্থায়ী সংসদীয় কমিটির বৈঠকের ডাক দিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। আগামী ২৮ জুলাই অর্থাৎ পরের সপ্তাহে বুধবার ২৮ জনের ওই কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। নাগরিকদের তথ্য-সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে ওই স্থায়ী কমিটি।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক-সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের ওই বৈঠকে ডেকে এই বিষয়ের উপর মতামত জানতে চাওয়া হবে। গত ১৮ জুলাই টুইট করে কমিটির চেয়ারম্যান শশী থারুর জানিয়েছেন, ভারত সরকার ইতিমধ্যেই অবৈধ নজরজদারি বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে অন্য কোনও দেশের সরকার কি ভারতের নাগরিকদের উপর নজরদারি চালাতে চেয়েছিল? কর্তৃপক্ষের কি এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত আহ্বান করা উচিত নয়?
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে যখন হোয়াটসঅ্যাপ সম্পর্কে নানা কথা রটছিল তখনও এই প্যানেল সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছ থেকে এব্যাপারে জানতে চেয়েছিল। ইজরায়েলের এনএসও গ্রুপ এই সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে। সম্প্রতি সামনে আসা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৪০ জন সাংবাদিকের পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেলের ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছিল। মঙ্গলবারও পেগাসাস নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সংসদ ভবন। যদিও আড়ি পাতা-কাণ্ডে সরকারের কোনও হাত নেই বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, কোনও সারবত্তাই নেই বিরোধীদের এই অভিযোগের।
Project Pegasus Sashi Tharoor