কাটতে চলেছে চুক্তি জট? আশায় ইস্ট বেঙ্গল কর্তারা
ক্লাব সমর্থকদের দু’পক্ষের ধুন্ধুমার লড়াইয়ের ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। তারপরেও একে অপরের উপর দোষারোপ চলছেই। চুক্তিপত্রে সই না করা নিয়ে সরাসরি কর্তাদের কাঠগড়ায় তুলছেন একদল সমর্থক। যদিও সেই সব অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ক্লাব অফিসিয়ালরা। বরং তাঁদের লক্ষ্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সব সমস্যা মিটিয়ে ফেলা। যাতে দ্রুত দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। এই প্রসঙ্গে ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, ‘আমরা চাই সব কিছু দ্রুত মিটে যাক। সেই জন্যই দিনরাত চেষ্টা চালাচ্ছি। ইতিমধ্যেই আমরা প্রাক্তন ফুটবলারদের চুক্তিপত্র যাচাই করার জন্য ক্লাবে আহ্বান জানিয়েছি। তাদের মতামত আমরা গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করব। এরপর সদস্য-সমর্থকদের থেকেও প্রয়োজনীয় মতামত গ্রহণ করব।’ উল্লেখ্য, বুধবার দুই প্রাক্তনী মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য ও সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাবে যাওয়ার কথা ছিল। তবে কোনও কারণে তাঁরা যেতে পারেননি।
এই প্রসঙ্গে লাল-হলুদ প্রাক্তনী জানান, ‘ক্লাব আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমি সেই পত্র পেয়েছি। তবে কবে যেতে হবে, তার কোনও উল্লেখ ছিল না। আগামী দু’একদিনের মধ্যে ক্লাবে গিয়ে চুক্তিপত্র দেখে আসব।’ সম্বরণ অবশ্য ক্লাবে না গেলেও, তিনি কর্তাদের থেকে চুক্তিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছেন। সেটা পুরোটা না পরে কোনওরকম মন্তব্য করতে চাননি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘বুধবার যা হয়েছে, তা সত্যিই অপ্রত্যাশিত। একজন ফুটবল অনুরাগী হিসেবে আমি অবশ্যই চাইবো, ইস্ট বেঙ্গল (East Bengal) আইএসএল খেলুক। তার জন্য উভয় পক্ষকে বসে এক সুরাহার পথ খুঁজে বার করতে হবে।’
এদিকে, বৃহস্পতিবার চুক্তি বিতর্কে ক্লাব কর্তাদের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। পাশাপাশি আর্থিক সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে ক্লাবের শীর্ষকর্তা জানান, ‘শুধু মদন মিত্রই নয়, সমাজের প্রত্যেক স্তরের মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। অবশ্যই তাঁদের পাশে থাকাটা আমাদের নৈতিক সমর্থন যোগাবে। তবে এতে কোনওরকম রাজনৈতিক বিভাজন চাই না। আমাদের আলাদা কোনও রং নেই। আমরা শুধুই লাল-হলুদ।’