বিতর্কে ইতি টানলেন মহুয়া দাস, আবেগের ফলে বলে ফেলেছি, সাফাই তাঁর
উচ্চ মাধ্যমিক (uccha madhyamik ) পরীক্ষায় রাজ্যের প্রথম স্থানাধিকারীর ধর্মী পরিচয় উল্লেখ করা নিয়ে তোলপাড় রাজ্যের শিক্ষা মহল। উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাসের (Mahua Das) পদত্যাগের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। সংসদ সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে এদিন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় শিক্ষক ঐক্য মুক্ত। বিতর্কের আবহে এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন মহুয়া দাস।
বিতর্ক প্রসঙ্গে মহুয়া দাস এদিন বলেছেন, ‘মেয়েটি শিক্ষারত্ন। সেই হিসেবে বলেছি। মহিলা সমাজে আমাদের অলঙ্কার। এও আমাদের পথিকৃৎ। আমাদের রত্ন। বেশি করে আলোয় আনতে চেয়েছি। সংসদ গর্বিত।একটা নিষ্পাপ মেয়ে একটি প্রত্যন্ত জেলা থেকে সংসদের ইতিহাসে প্রথমবার ভালো ফল করেছে। আবেগের বশে বেগম রোকেয়ার কথা মনে করেছিলাম। সেই হিসেবে বলেছিলাম, যাতে মেয়েটির গৌরব শেয়ার করা যায়’। উল্লেখ্য, বেগম রোকেয়া বাঙালি মুসলিম নারী সমাজের পথিকৃৎ। কুসংস্কারে আচ্ছন্ন মুসলিম নারী সমাজে শিক্ষার আলো এনেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এবার উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে মুর্শিদাবাদের রুমানা সুলতানা। ফল ঘোষণার সময় পরীক্ষার্থীর নাম না করেই উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষা সংসদের সভাপতি বলেন, ‘উচ্চ মাধ্যমিকে একক ভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন এক মুসলিম কন্যা। মুর্শিদাবাদ জেলার এক মুসলিম গার্ল’। মহুয়ার এই মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় হয় নেট দুনিয়া।
অন্যদিকে, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সামনে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের তরফ থেকে বিক্ষোভ কর্মসুচি করা হয়।সংসদ সভাপতির পদত্যাগ দাবি করা হয়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি বাধে। আটক করা হয় বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে।