অশ্বিনীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব মহুয়ার
‘অভব্য আচরণের’ অভিযোগ তুলে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে (Santanu Sen) বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু। কিন্তু এরপর হাত গুটিয়ে বসে নেই তৃণমূলও। পালটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnaw) বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব (Privilege motion) আনা হয়েছে লোকসভায়। সংসদের নিম্নকক্ষে এই প্রস্তাব এনেছেন কৃষ্ণনগরের লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। অন্যদিকে, সাসপেন্ড করার পরও শুক্রবার রাজ্যসভায় ঢোকার চেষ্টা করেন শান্তনু। সেই সময় তাঁকে ঢুকতে বাধা দেন সংসদের মার্শালরা।
পেগাসাস কাণ্ডে সংসদে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মিথ্যে কথা বলেছেন, এই মর্মে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে এ দিন স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনেন মহুয়া। লোকসভার সচিবকে দেওয়া একটি চিঠিতে তিনি লেখেন, গত ১৯ জুলাই লোকসভায় নিজের ভাষণে অশ্বিনী বৈষ্ণব কিছু এমন দাবি করেছিলেন যা পুরোপুরি সত্য নয়। কী বলেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? পেগাসাস স্পাইওয়ার ইস্যুতে সাফাই দিয়ে বৈষ্ণব নিজের ভাষণে বলেন, “অতীতেও একাধিকবার হোয়াটসঅ্যাপে পেগাসাস নিয়ে একই ধরনের দাবি করা হয়েছিল। এই ধরনের দাবির কোনও সত্যতা নেই, সুপ্রিম কোর্ট-সহ সব দল তা নস্যাৎ করেছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাষণের এই অংশ সম্পূর্ণ সত্য নয়। এই দাবি তুলে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব মহুয়া এনেছেন।
মহুয়ার স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস
অন্যদিকে, এ দিন রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ সেন্ট্রাল হলে বসে থাকেন শান্তনু। এরপর দুপুর আড়াইটে নাগাদ ফের অধিবেশন শুরু হলে রাজ্যসভা কক্ষে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু শান্তনুকে বাধা দেন মার্শালরা। এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে একটি টুইট করেন শান্তনু। টুইটে তিনি লেখেন, “আমাকে রাজ্যসভা থেকে অসংসদীয় উপায়ে সাসপেন্ড করার জন্য মোদীজি এবং অমিত শাহজি-কে ধন্যবাদ। কিন্তু এইভাবে মমতাদি এবং তৃণমূলের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। গুন্ডামি করার উপহার দেওয়া যেতে পারে হরদীপ পুরিকে।”
সূত্রের খবর, পালটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর বিরুদ্ধেও স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনতে পারে তৃণমূল।