অনলাইনে মিলবে পুর এলাকায় বাড়ি ও ব্যবসা শুরুর যাবতীয় ছাড়পত্র
কলকাতা সহ কয়েকটি পুরসভায় বিল্ডিং প্ল্যান এবং বিভিন্ন কাজ অনলাইনে হচ্ছে। এবার রাজ্যের অন্য সব পুরসভাতেও তা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে মানুষ বাড়িতে বসেই সবরকম পরিষেবা পাওয়া যায়। বাড়ি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন এবং ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে যে ছাড়পত্র দরকার তা বাড়িতে বসেই মিলবে। তার জন্য ইজ অব ডুয়িং বিজনেস (Ease of Doing Business) চালু করছে পুরদপ্তর। সরকারি পর্যায়ে বা শিল্পদপ্তরে তা চালু হলেও এখনও পুরসভাগুলিতে তা চালু হয়নি। এবার ইওডিবি চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর (department of Urban Development and Municipal Affairs)। এর জন্য আগামী ২৭ ও ২৮ জুলাই রাজ্যের সব পুরসভার চেয়ারম্যান ও প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তবে সেই বৈঠক হবে ভার্চুয়ালি। ওই বৈঠকে দপ্তরের প্রধান সচিব খলিল আহমেদ (Khalil Ahmed) এবং অন্য অফিসাররা থাকবেন।
পুরদপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শুধু অনলাইনে বাড়ির কর জমা দেওয়াই নয়, ট্রেড লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন, মিউটেশন, বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনও অনলাইনে করা হবে। ব্যবসা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় অনলাইনে করার প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। কিছুদিনের মধ্যেই চালু হবে ই-মিউটেশন। ইতিমধ্যেই ল্যান্ড রেজিস্ট্রি অফিসে চালু হয়ে গিয়েছে ই-রেজিস্ট্রেশন। অর্থদপ্তর প্রথমে অনলাইনে কাজকর্ম চালু করার জন্য ইএফএমএস চালু করে। যার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পুরস্কৃত হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সরকারি কর্মচারীদের তথ্য খুঁজে বের করতে চালু হয় এইচআরএমএস।
এরপরই চালু হয় ই-অফিস, যা গত দেড় বছরে বিশেষ কাজে লেগেছে। এই মুহূর্তে সব দপ্তরে জোরকদমে চলছে ই-অফিস। করোনা সংক্রমণের ভয়ে অনেক অফিসার ফাইল ধরেন না। তাঁরা সমস্ত কাজই করছেন ই-অফিসের মাধ্যমে। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র সব ফাইলই করেন ই-অফিসের মাধ্যমে। এর ফলে ফাইল টানাটানি বা তার সংরক্ষণ করতে হয় না। কাগজের খরচও কমে গিয়েছে। ই-অফিস ছিল বলে সরকারের কাজকর্ম নির্বিঘ্নে এবং দ্রুতগতিতে চলছে বলে মনে করেন নবান্নের শীর্ষস্থানীয় অফিসাররা।
এবার পুরসভাগুলিতে সমস্ত কাজ অনলাইনে এবং দ্রুতগতিতে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য পুরসভায় চালু করা হবে ‘ইওডিবি’। এর জন্য পুরদপ্তরের পক্ষ থেকে পুরসভাগুলিকে তথ্য-প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া হবে। কলকাতা এবং লাগোয়া পুরসভাগুলিতে তা শুরু হলেও দূরের জেলার পুরসভাগুলিতে তা হচ্ছে না। এবার তা করার উদ্যোগ নেওয়া হল। এজন্য দু’দিন ধরে বিস্তারিত আলোচনা হবে। জানিয়েছেন পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)।