আবার নাটক সৌমিত্রর! ক্ষমা চাইলেন ‘বিতর্কিত ফেসবুক পোস্টের জন্য’
দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছিল। বিশেষত একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির (BJP) খারাপ ফলাফলের জেরে তা আরও বেড়েছে। গেরুয়া শিবিরের বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে মতানৈক্য চলছে। এই পরিস্থিতিতেই বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) পদত্যাগ করতে চেয়ে দলের শীর্ষনেতাদের বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন। আর এবার তার জন্য দলের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ক্ষমা চেয়ে নিলেন তিনি। রবিবার হেস্টিংসে যুব মোর্চার কার্যকারিণী বৈঠকে এদিন সৌমিত্র খাঁ বলেন, ”যুব মানে লড়াই হবে। মাঝেমাঝে ভুলও হবে। আমারও কিছু ভুল আছে। ফেসবুকে ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করাটা আমার ভুল ছিল। তার জন্য সকলের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।” তাঁর এই আত্মোপলব্ধি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।
যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদে সৌমিত্র খাঁ থাকবেন কি না, তা নিয়ে টানাপোড়েন নতুন নয়। চলতি মাসে ৭ তারিখ, বহু জল্পনার পর যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন সৌমিত্র খাঁ। তবে তার আগে ফেসবুক (Facebook) লাইভে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে। বলেছিলেন, “বিরোধী দলনেতা নিজেকে বিরাট করে জাহির করছেন। যখন উনি তৃণমূলে ছিলেন, তখনও নিজেকে বিশাল কিছু মনে করতেন। মনে হচ্ছে, দলে শুধু ওঁরই অবদান রয়েছে। আমাদের কোনও ত্যাগ নেই। নতুন নেতা হঠাৎ করে এসে যেভাবে দিল্লির নেতাদের ভুল বোঝাচ্ছেন, তাতে গোটা দল একটা জেলার মধ্যে চলে আসছে।” এসবের জেরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা উসকে ওঠে, তবে কি বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলের পথে পা বাড়াচ্ছেন সৌমিত্র? কিন্তু কয়েকঘণ্টার মধ্যেই তিনি যাবতীয় গুঞ্জন উড়িয়ে জানিয়ে দেন, ইস্তফার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছেন।
যদিও দলের নিয়মানুযায়ী এখনও তিনিই বিজেপি যুব মোর্চা (Yuva Morcha) সভাপতি থাকবেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। কারণ, চল্লিশোর্ধ্ব কাউকে সাধারণত এই পদে রাখা হয় না। সৌমিত্রর বয়স চল্লিশের বেশি। তবে তিনি থাকুন বা না থাকুন, দলের সঙ্গে খানিক তিক্ত হওয়া সম্পর্ক গুছিয়ে নিতে যে মরিয়া, তা স্পষ্ট এই ক্ষমাপ্রার্থনায়। যদিও তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন কার্যকারিণী বৈঠকের ভাষণে বারবার রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেও, নামই করলেন না শুভেন্দু অধিকারীর।