ত্রিপুরায় হোটেলে আটক করে আইপ্যাকের ২৩ সদস্যকে হেনস্থা ভয় পেয়েই?
ত্রিপুরায় তৃণমূলের (TMC) হয়ে সমীক্ষা করতে গিয়ে আটক প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishore) সংস্থা আইপ্যাকের ২৩ সদস্য৷ অভিযোগ রবিবার রাত থেকে তাঁদের আগরতলার একটি হোটেল থেকে বেরোতে দেয়নি ত্রিপুরা (Tripura) পশ্চিম থানার পুলিশ৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূলকে ভয় পেয়েই আইপ্যাকের সদস্যদের কাজে বাধা দিচ্ছে বিপ্লব দেব সরকারের পুুলিশ৷
বাংলায় বিপুল জয়ের পর এবার ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগে পশ্চিমবঙ্গের মতো প্রতিবেশী রাজ্যেও সমীক্ষা শুরু করছে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক৷ সেই কাজেই রবিবার আগরতলায় পৌঁছন সংস্থার তেইশ জন সদস্য৷ আগরতলার উডল্যান্ড পার্ক হোটেলে ওঠেন তাঁরা৷
তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরার সভাপতি আশিস লাল সিং-এর অভিযোগ, রবিবার রাতে রুটিন তল্লাশির নামে আইপ্যাকের সদস্যদের প্রথমে একদফা হেনস্থা করে ত্রিপুরা পশ্চিম থানার পুলিশ৷ এর পর সোমবার সকালেও তাঁরা হোটেল থেকে বেরনোর সময় পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে তৃণমূলের তরফে পাল্টা কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার তৃণমূল সভাপতি৷
আশিস লাল সিং বলেন, ‘সমীক্ষা চালানোর অধিকার সবার আছে৷ ওরা এত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে যে সবকিছুতেই ভূত দেখছে৷ রাতে হেনস্থা করার পর সকালেও বলছে ওঁরা বেরোতে পারবেন না৷ এটা কোনও সুসভ্য দেশে হতে পারে? রুটিন তল্লাশির নামে মানুষকে এ ভাবে সারাদিন আটকে রাখা যায়? এটা গণতন্ত্রের নামে পরিহাস৷ ‘
যদিও এ বিষয়ে এখনও সরকারি তরফে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি৷ পাশাপাশি আইপ্যাকের তরফেও সরাসরি কোনও অভিযোগ এখনও মেলেনি৷ প্রসঙ্গত, একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়েও আগরতলায় পুলিশের হাতে শতাধিক তৃণমূল কর্মী আটক হয়েছিলেন৷ ফলে এ রাজ্যের মতো ত্রিপুরাতেও বিজেপি- তৃণমূলের মধ্যে সংঘাতের পারদ ক্রমশ চড়ছে৷
ত্রিপুরার ঘটনার নিন্দা করে ট্যুইট করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।