বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিনেত্রী অঙ্কিতা
বৈষম্য। ভারতের মতো দেশে প্রতিটি ক্ষেত্রে বোধহয় বৈষম্য রয়েছে। অন্তত এমনটাই মনে করেন, বিভিন্ন পেশার, বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন বর্ণের, বিভিন্ন জাতের মানুষ। বর্ণ বৈষম্য নিয়ে এ বার সরাসরি মুখ খুললেন মডেল তথা অভিনেতা মিলিন্দ সোমনের স্ত্রী অঙ্কিতা কোনওয়ার (Ankita Konwar)।
সদ্য অলিম্পিকে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে মণিপুরের ইম্ফলের মীরাবাঈ চানু। উত্তর পূর্ব ভারতের এই বাসিন্দার জয়ে অভিভূত গোটা দেশ। কিন্তু অঙ্কিতা মনে করেন, চানুর সাফল্যে খুশি হওয়া সকলের হিপোক্রেসির নামান্তর। কারণ মূল স্রোতে উত্তর পূর্বের বাসিন্দাদের স্বাভাবিক চলন সকলে মেনে নিতে পারেন না। সেই অংশের এক নাগরিক যখন বিশ্ব মঞ্চে সম্মান এনে দেন, তখন প্রকাশ্যে প্রশংসা করে পরোক্ষে আবার ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের কটাক্ষ করা দুমুখো আচরণ বলে মনে হয়েছে অঙ্কিতার।
অঙ্কিতা নিজে আসাম কন্যা। চানুর সাফল্যের পর তিনি প্রকাশ্যে বলেন, ‘আপনার জন্ম, বড় হওয়া যদি উত্তর পূর্ব ভারতে হয়, তা হলে দেশের জন্য পদক জিতলে একমাত্র তখনই আপনি ভারতীয় হিসেবে মর্যাদা পাবেন। অথচ আমাদের চিঙ্কি, চাইনিজ, নেপালি আর এখন করোনা বলে পরিচয় দেওয়া হয়।’
অঙ্কিতা মনে করেন, শুধু জাতিভেদ নয়, ভারতে ভয়ঙ্কর ভাবে বর্ণ বিদ্বেষও রয়েছে। চানুর (Mirabai Chanu) সাফল্যে যাঁরা আনন্দ প্রকাশ করছেন, বাস্তবে কোনও উত্তরপূর্ব ভারতের নাগরিকের সঙ্গে কি তাঁরা একই রকম ব্যবহার করেন, সুশীল সমাজের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন অঙ্কিতা। তিনি নিজেও বাস্তবে এমন অপমানিত হয়েছেন। তাই হিপোক্রেসি দেখে আর চুপ করে থাকতে পারেননি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝেমধ্যেই নিজের মত প্রকাশ করেন অঙ্কিতা। মিলিন্দের সঙ্গে তাঁর বয়সের পার্থক্য, দাম্পত্য সম্পর্কে সন্তান পরিকল্পনা সব প্রশ্নের সপাট জবাব দেন। চানুর সাফল্যের অন্ধকার দিকটাও তাই নিজের মতো করে দেখিয়ে দিলেন তিনি।