কাল ত্রিপুরা যাচ্ছেন ডেরেক, কাকলি, পরশু যেতে পারেন অভিষেকও
এবার ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন তৃণমূলের আরও দুই সাংসদ। আগামীকাল ত্রিপুরা পৌঁছবেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন (Derek O’Brien) এবং সাংসদ কাকলি ঘোষ দোস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar)। লক্ষ্য পড়শি রাজ্যে আটক আইপ্যাক কর্মীদের পাশে থাকা এবং স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের উৎসাহ দেওয়া। সব ঠিক থাকলে শুক্রবার দুপুরেই দিল্লি থেকে ত্রিপুরার (Tripura) উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁর আগেই ওই কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে, তাদের মুক্ত করতে, আজই ত্রিপুরা গিয়েছেন তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল।
রবিবার থেকেই ত্রিপুরায় নজরবন্দি হয়ে রয়েছেন আইপ্যাক এর কর্মীরা। অভিযোগ একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে। অবশ্য ত্রিপুরা পুলিশের বক্তব্য করোনা পরীক্ষার জন্যেই ওই ২৩জনকে একটি হোটেলে রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য মঙ্গলবার রাতেই ওই ২৩ জনের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু রহস্যজনক ভাবেই কাল তাদের আরও একবার আরটিপিসিআর টেস্ট করানো হয়।
দিল্লি থেকেই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিকে রাজধানীতে এখন রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনিও বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে ২৩ জনকে এক সঙ্গে হোটেলে বন্দি করে রাখার ঘটনার কথা তুলে আনেন। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মমতা। তাঁর নির্দেশেই আজ বুধবার সকালেই ত্রিপুরা গিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
সর্বভারতীয় রাজনীতিতে ক্রমেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে তৃণমূল। বাংলা জয়ের পরেই তারা মনোনিবেশ করেছে ত্রিপুরায়। তৃণমূলের লক্ষ্য ২০২৪ -এর আগেই বিজেপির সাঁকো নাড়িয়ে দেওয়া। সে দিক থেকে দেখতে গেলে লোকসভা ভোটের আগেই ভোট রয়েছে ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশের মত রাজ্যে তাই এই দুই রাজ্যেই তৃণমূলের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। দাগ কাটতে গেলে ঠিক কীভাবে ঘুঁটি সাজাতে হবে, তা ঠিক করতেই ত্রিপুরায় সরেজমিন তদন্ত শুরু করেছে প্রশান্ত কিশোরের টিম আইপ্যাক।