জোটে ঘনাল জট? সংযুক্ত মোর্চা ছাড়ার হুমকি দিল আইএসএফ
একুশের নির্বাচনের আগে কাকুতি–মিনতি করেই বামেদের সঙ্গে জোট করেছিল আইএসএফ। এবার আলিমুদ্দিনের উপর চাপ বাড়ালেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তার ফলে বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট নিয়ে জটিলতা তৈরি হলো আইএসএফের অন্দরে। বামফ্রন্ট এবং শরিক কংগ্রেস নেতাদের নানা মন্তব্যে তাঁদের গোঁসা হয়। তার জেরেই বুধবার জোট ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিলেন সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র বিধায়ক।
নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়ে গিয়েছে দু’মাস হলো। কিন্তু তারপরও বাম–কংগ্রেস–আইএসএফ’কে (ISF) কোনও সংযুক্ত কর্মসূচি নিতে দেখা যায়নি। উলটে একুশের নির্বাচনের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে আইএসএফের সঙ্গে জোটকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। তাই আলিমুদ্দিন সংযুক্ত কর্মসূচি নেয়নি বলেই মত রাজনৈতিক কুশীলবদের। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল আইএসএফ। কিন্তু তিনিও নাকি টালবাহানা করে চলেছেন বলে দাবি। এখন বিতর্ক বাড়িয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘এই জোট কেবলই নির্বাচন কেন্দ্রিক জোট ছিল।’ তাই আইএসএফ আজ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এভাবে বেশি দিন সহ্য করা সম্ভব নয়।
ঠিক কী বলেছেন নওশাদ সিদ্দিকি? বুধবার আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘আমরা সংযুক্ত মোর্চার সঙ্গে আছি। কিন্তু এই মোর্চার অন্য দল আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করছে। তবে মোর্চার স্বার্থে আমরা এখনও পর্যন্ত চুপ আছি। কিন্তু কতদিন চুপ থাকতে পারব বলতে পারছি না। যদি এরকম মনে হয় যে সংযুক্ত মোর্চা ছেড়ে দিলে আমাদের সম্পর্কটা ভাল থাকবে, আমরা সেটাও করতে রাজি আছি। কিন্তু প্রতিনিয়ত এভাবে ঘণ্টার মতো বাজিয়ে দিয়ে চলে যাবে এটা মেনে নিতে পারছে না। আমরা দ্রুত সমাধান চাই।’
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, বাম–কংগ্রেসের ঝুলি শূন্য। কয়েকদিন আগে বিমান বসু সাংবাদিকদের বলেন, ‘সর্বভারতীয় স্তরে আমরা বিজেপি বিরোধী যে কোনও দলের সঙ্গে কাজ করতে রাজি আছি।’ সিপিআই আজকে সরাসরি সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার কথা বলেছে। সবমিলিয়ে চাপ বেড়েছে আইএসএফের। তাই পাল্টা আইএসএফও চাপ বাড়াল বলে মনে করা হচ্ছে।