রাজ্যে কোভিড বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ল ১৫ আগস্ট পর্যন্ত
রাজ্যে কোভিড সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণবিধির মেয়াদ ১৫ অগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হল। সেই সঙ্গে কোভিড নিয়ন্ত্রণবিধিতে কিছু ছাড় এবং কিছু বাড়তি বিধিনিষেধও (Covid Protocol) আরোপ করেছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিবের তরফে জারি করা একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, শনিবার, ৩১ জুলাই থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। তবে লোকাল ট্রেন চালু করার বিষয়ে ওই নির্দেশিকায় আলাদা করে কোনও উল্লখ নেই। এ থেকে ধরে নেওয়া যায় ১৫ আগস্ট পর্যন্ত স্বাভাবিক হচ্ছে না লোকাল ট্রেন চলাচলও।
তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কার আবহেই করোনা সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণবিধির মেয়াদ বৃদ্ধি করল সরকার। যদিও সরকারি অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। রুদ্ধদ্বারে মোট আসনের ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে সরকারি অনুষ্ঠান করা যাবে বলে জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। তবে রাত ৯টা থেকে ভোার ৫টা পর্যন্ত চলাফেরায় যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা বহাল থাকবে।
স্বাস্থ্য পরিষেবা, আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে যুক্ত পরিষেবা এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত যানবাহন এবং রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষের চলাফেরায় আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। গত ১৪ জুলাই জারি করা সেই নিয়ন্ত্রণবিধি (COVID Restriction) কার্যকর ছিল ৩০ জুলাই পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ ১৫ অগস্ট পর্যন্ত বাাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছে সরকার। তবে করোনা সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ চলাকালীন লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার যে ঘোষণা করা হয়েছিল সে ব্যাপারে আলাদা করে কোনও উল্লখ নেই রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকায়। সে ক্ষেত্রে রেল কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জন্য যে পেট্রল স্পেশ্যাল পরিষেবা রেলের তরফে দেওয়া হচ্ছিল, তা জারি থাকবে।
এ ছাড়া সার্বিক ভাবে করোনা বিধি যাতে যথাযথ ভাবে পালন করা হয় তাতেও কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে নতুন নির্দেশিকায়। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ কমিশনারেটগুলিকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মাস্ক পরা, দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পালন করা হচ্ছে কি না সে ব্যাপারেও কড়াকড়ি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের তরফে জারি করা ওই নির্দেশিকায় টিকাকরণের বিষয়েও গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে বাড়ি থেকে কাজের বিকল্প বাড়ানোর পাশাপাশি, অফিস নিয়মিত জীবানুমুক্তকরণ, কর্মীদের টিকাকরণ নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে কর্তৃপক্ষকেই।
নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানানাে হয়েছে নির্দেশিকায়।