ত্রিপুরায় তৃণমূলের বৈঠক ঘিরে ‘প্রশাসনিক’ জটিলতা!
‘বৈঠক করতে গেলে দেখাতে হবে প্রশাসনের অনুমতি। না হলে মিটিং করা যাবে না।’ এবার ত্রিপুরা প্রশাসনের তরফে এমনই বাধার সম্মুখীন হতে হল তৃণমূল কংগ্রেসকে (Tripura Trinamool )। দলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু বৃহস্পতিবার বৈঠকের শুরুর আগেই বড়সড় জটিলতার মুখে পড়তে হল তৃণমূলকে(Tripura Trinamool )। জানা গেল পুলিশ অনুমতিই দিচ্ছে না এই বৈঠকের।
সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার আগরতলার ‘মার্স’ নামের একটি হোটেলে তৃণমূলের বৈঠকের প্রস্তুতি চলছিল। উপস্থিত ছিলেন ডেরেক ও ব্রায়েন ও কাকলি ঘোষ দস্তিদার। ছিলেন মলয় ঘটক, ব্রাত্য বসু-সহ স্থানীয় নেতা কর্মীরা। সেইসময় স্থানীয় থানা এসে জানিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানায় জেলাশাসকের অনুমতি ছাড়া বৈঠক করা যাবে না। এই নিয়ে পরে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন মলয়-ব্রাত্যরা। ৫০ জনকে নিয়ে শুরু বৈঠকে শুরু করার কথা রয়েছে ওই হোটেলে। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডেরেক ও ব্রায়েন মন্তব্য করেন, ‘খেলা শুরু তাই ভয় পেয়েছে ওরা।’
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় সংগঠন পোক্ত করছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে বুধবার হঠাৎই আগরতলায় হাজির হন মন্ত্রী মলয় ঘটক ও ব্রাত্য বসু। আজ হাজির হন ডেরেক ও ব্রায়ান এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এসেছেন শ্রমিক সংগঠনের নেতা ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়। ভিনরাজ্যে দলকে ছড়িয়ে দিতে ত্রিপুরাকেই প্রথম টার্গেট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়রা। বিপ্লব দেব শাসিত এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক আগেই প্রবেশ করেছিল। সেই কাজটির মাস্টারমাইন্ড ছিলেন মুকুল রায়ই। তাঁর হাতযশেই ত্রিপুরাতে তৃণমূলের ৬ জন বিধায়কও ছিল। কিন্তু মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করার পরেই ৬ বিধায়ক বিজেপিতে চলে যান। তারপর থেকেই ত্রিপুরা কার্যত তৃণমূলশূন্য হয়ে পড়েছিল।
কিন্তু এবার ফের ‘খেলা’ শুরু হতে চলেছে ত্রিপুরায়। সৌজন্যে সেই মুকুল রায়। তবে এবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অভিষেক নিজে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, অন্তত ১৪ জন বিধায়ক নিয়ে বিজেপি ছাড়তে পারেন সুদীপ রায়বর্মণ। আর সেই আশঙ্কাই বিজেপির অন্দরে ঝড় তুলে দিয়েছে। বড় সংখ্যক বিধায়ক নিয়ে দল ছাড়ার পর সুদীপের গন্তব্য যে তৃণমূলই হবে, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। কারণ দলবদলের আগে ওই বিজেপি বিধায়কদের কলকাতায় বা দিল্লিতে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের কথাও রয়েছে। আর বাংলার পর ত্রিপুরাতে বিপর্যয় আটকাতেই তাই এবার কোমর বেঁধে নেমেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তবে বিজেপির ওপর চাপ বাড়াতে এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ত্রিপুরায় এসে পৌছনোর পরে সুদীপ কি করেন তা নিয়ে চলছে তুমুল জল্পনা।