লকডাউনের জন্য পিছিয়ে গেল অভিষেকের ত্রিপুরা সফর
পিছিয়ে গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ত্রিপুরা সফর। সেরাজ্যে এই মুহূর্তে সাপ্তাহিক কারফিউ জারি রয়েছে। অর্থাৎ শনি ও রবিবার বেশকিছু বিধিনিষেধ জারি থাকবে ত্রিপুরায়। সেসময় অভিষেক ত্রিপুরায় থাকলে নানারকম জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। কোভিড (COVID-19) বিধির অজুহাতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কর্মসূচিতে বাধা দিতে পারে ত্রিপুরা সরকার। এই বিবিধ সম্ভাবনার কথা ভেবেই আপাতত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে TMC সূত্রের খবর। পরিবর্তে সোমবার আগরতলায় যেতে পারেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। যদিও, তাঁর সফরসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
প্রথমে ঠিক ছিল বৃহস্পতিবারই ত্রিপুরা (Tripura) যাবেন অভিষেক। পরে সেই সফর পিছিয়ে করা হয় শুক্রবার। পরিবর্তে আজ ত্রিপুরা যান দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার। ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার থেকেই আগরতলায় আছেন। মনে করা হচ্ছিল, অভিষেকের সফরের জন্য জমি তৈরি করতেই একসঙ্গে এতসংখ্যক তৃণমূল নেতা ত্রিপুরায় রয়েছেন। ঠিক ছিল, শুক্রবার অভিষেক ত্রিপুরায় পা রেখে একাধিক সাংগঠনিক বৈঠক করবেন। বৃহস্পতিবার দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন জানিয়েও দিয়েছিলেন, ’ত্রিপুরাতেও খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেই তৃণমূলে যোগদানের জন্য যোগাযোগ করেছেন। শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা পৌঁছালেই তাঁদের নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ অর্থাৎ অভিষেকের সফরের উপর নির্ভর করছে, বেশ কয়েকটি সাংগঠনিক সিদ্ধান্তও। তবে, সবটাই আপাতত দিন তিনেকের জন্য পিছিয়ে দিতে হচ্ছে।
এদিকে, ত্রিপুরায় TMC নেতাদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে এদিন মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplob Deb)। তিনি বলছেন, আমরা ত্রিপুরাবাসী অতিথিদের দেবতা বলে মনে করি। ত্রিপুরা সরকারও সেটাই বিশ্বাস করে। এখানে কেউ আসতেই পারেন। তবে, পুলিশ প্রশাসন তাঁদের কাজ করবে। তাতে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী এলাকা। একসঙ্গে অনেক লোক বাইরে থেকে এলে প্রশাসন খোঁজ নেয়। তাছাড়া, সামনেই স্বাধীনতা দিবস। তাই সাবধান থাকতে হয়।