৫৮ বছর বয়সে পিএইচডি করে নজির রাজ্যের মুখ্যসচিবের
পড়াশুনার কোনও বয়স হয় না। যে কোনও সময়েই তা শুরু করা যায়। এই আপ্তবাক্য যে কোনও ‘মিথ’ নয়, তা প্রমাণ করে দেখালেন এ রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কাজের ফাঁকে চালিয়ে গিয়েছিলেন পড়াশুনা। রাজ্যের হাজারো গুরুদায়িত্ব সামলানোর মাঝেই নজির গড়ে ফেললেন তিনি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়নমূলক অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেন ৫৮ বছর বয়সী এই দুঁদে আমলা। গত ২৩ জুলাই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন তিনি। তার জন্য কম কষ্ট করতে হয়নি তাঁকে। পড়াশুনার প্রতি তাঁর একাগ্রতা আঁকড়ে ধরে থেকেছেন তিনি। টানা চার বছরের চেষ্টায় সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছলেন লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্স থেকে মাস্টার্স করা ১৯৮৮ ব্যাচের এই আইএএস অফিসার।
চলতি বছরের ৩১ মে রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তার আগে টানা ৯ বছর রাজ্যের অর্থ দফতরের প্রধান সচিবের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিস্ক প্রসূত বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছেন এই আমলা।
একদা বালুরঘাট, উত্তর ২৪ পরগনা ও মুর্শিদাবাদের জেলাশাসকও থেকেছেন। নিজের কর্মজীবন কাটিয়েছেন দুর্গাপুরের এসডিও হিসেবেও। পরবর্তী সময়ে কালনার এসডিও ছিলেন। শুধু তাই নয়, একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলেছেন হরিকৃষ্ণ।
এমনকী, লন্ডনে গিয়ে সেখানকার লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স থেকে মাস্টার্সও হন দ্বিবেদী। সেখান থেকে ফিরে স্বাস্থ্য দফতরে স্পেশাল ক্রিয়েটার্ট হিসেবে যোগদান করেন। ২০১২ সালে তৃণমূল সরকারে অর্থসচিব হিসেবে যোগ দেন। ২০২০ সালে তিনি যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব পদেও। সর্বশেষ চলতি বছরের ৩১ মে রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি।