বানারহাটের ‘ধর্ষণ’কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে জন বারলাকে
বানারহাটের আদিবাসী যুবতী ‘ধর্ষণ’কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাল সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলার (John Barla) তিন ঘনিষ্ঠকে নোটিস পাঠাচ্ছে পুলিস। আলিপুরদুয়ারের সাংসদ বারলাকেও সেই নোটিস দেওয়া হতে পারে? পুলিস সূত্রে তেমনই খবর। সম্প্রতি বানারহাটের এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে পুলিস জয়চাঁদ আগরওয়াল নামে একব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। দু’দিন পুলিস হেফাজতে থাকার পর শনিবার ফের তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই পুলিস বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এবং তদন্তের প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলার ঘনিষ্ঠ তিন সঙ্গীকে নোটিস ধরানো হচ্ছে বলে পুলিস জানিয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিসের এক পদস্থ অফিসার জানান, ওই কেসের তদন্তের স্বার্থে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে। যদিও জন বারলা এখন শুধু সাংসদ নন, একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাই তাঁকে নোটিস ধরাতে গেলে লোকসভার অধ্যক্ষের অনুমতির প্রয়োজন জরুরি কি না জানতে চাইলে জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, পুলিসের কাছে দেওয়া ‘ধর্ষিতা’র অভিযোগপত্রে চার জনের নাম রয়েছে। সিআরপিসির ৪১ এ ধারা অনুসারে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস করতে পারে। সেই ধারারই প্রয়োগ করা হচ্ছে এখানে।
এদিকে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ তিনজনের একজন মন্ত্রীর পিএ বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকের বাড়ির ঠিকানায় ওই নোটিশের নথি পৌঁছে যাবে। এদিন এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য মন্ত্রী জন বারলাকে একাধিকবার ফোন এবং মেসেজ করার পরেও তিনি কোনও উত্তর দেননি। তবে জেলার বিজেপি সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, আইন যেভাবে এগোচ্ছে এগোবে। আইন কারও কেনা নয়। সে ব্যাপারে মন্ত্রী নিশ্চিতভাবেই তাঁর মতো করে আইনিভাবেই মোকাবিলা করবেন।
এদিকে ধর্ষণকাণ্ডে ধৃত জয়চাঁদ আগরওয়ালকে এবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল জেলা আদালত। অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবী আকাশদীপ শীল জানান, জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে। কিন্তু আর পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়নি।