কর্মসংস্থান, শিক্ষাকে পাখির চোখ করে ত্রিপুরায় প্রচার শুরু করছে তৃণমূল
অভিষেক আসার আগে ত্রিপুরার যুব সমাজের মন বুঝতে আসরে দেবাংশু-জয়া-সুদীপ। আগরতলা স্টেশনে ত্রিপুরার তিন মূর্তিকে দেখে যেভাবে খেলা হবে গান বেজেছে তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট মহিলাদের পাশাপাশি যুবদের ২০২৩ এর ভোটে টার্গেট করেছে তৃণমূল। বিজেপি বিরোধীতায় যুবদের চাহিদাকেই হাতিয়ার করে এগোতে চায় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল।
২০১৮ সরকার গঠনের পরে বিপ্লব দেবের সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল রাজ্যে শিল্প আসবে। কিন্তু সাড়ে তিন বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও শিল্পের ছোঁয়া দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না রাজ্যজুড়ে। এমনটাই অভিযোগ যুবদের৷ এর পাশাপাশি পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্যে যে কিছুই হয়নি তা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে তাদের। আর এই ক্ষোভকে পাখির চোখ করেই এগোচ্ছে তৃণমূল।
ত্রিপুরায় (Tripura) তৃণমূল (TMC) হাতিয়ার করছে শিল্প নেই। কর্মসংস্থান নেই। উচ্চ-শিক্ষার জন্য বাইরে যেতে হয়। সরকারি নিয়োগ কার্যত বন্ধ। গ্রামীণ এলাকায় মার খাচ্ছে রাবার ও চা চাষ।
স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এখন ব্যবসায়ী স্বপ্নদীপ চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, সরকার নিজে থেকে কোনও শিল্প আনার চেষ্টা করে না৷ এনার্জেটিক মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম যুবদের বিষয়ে বুঝবেন তা হল না।কিছুটা হলেও সহমত রোহিত ভট্টাচার্য। তিনি বলছেন, শিল্প না আসলে কর্মসংস্থান হবে না। ফলে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। প্রসঙ্গত, রোহিতের নিজস্ব ইলেকট্রিক বাল্ব তৈরির কারখানা আছে। কিন্তু তা নিয়ে সরকারি সাহায্য মেলে না বলে অভিযোগ তার।
স্থানীয় কলেজ ছাত্র, অঙ্কিত বণিক বলছেন, উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে চলে যেতে হচ্ছে। হয় কলকাতা না হয় শিলং। এর বাইরে আমাদের পড়াশোনার জন্য ভালো কোনও প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। তার ভয়, এভাবে বাড়ি ছেড়ে ভিন রাজ্যে চলে যাওয়ায়,এখন থেকেই বাড়িগুলি তাদের বৃদ্ধাশ্রম হয়ে যাচ্ছে। ক্ষোভ রয়েছে সরকারি চাকুরেদের। স্বরুপ নাহা বলছেন, সরকারি নিয়োগ নেই। ১০১২৩ শিক্ষক ছাঁটাই হয়েছে। প্রতি বছর যে পরিমাণ অবসর হচ্ছে সেই অনুপাতে লোক নিয়োগ নেই।আর এই এত কিছু ‘নেই’ আর ‘না’ এটাকেই লক্ষ্য করে ত্রিপুরায় ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।