চলে এসেছে তৃতীয় ঢেউ? কী বলছেন এইমস প্রধান?
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2020/09/Coronavirus-2-1024x576.jpg)
উদ্বেগ বাড়িয়ে ফের বেপরোয়া হচ্ছে কোভিড। ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের রেখচিত্র। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ‘আর ভ্যালু ফ্যাক্টর’ও। তাতে ইঙ্গিত খুব স্পষ্ট—দেশের দোরগোড়ায় কড়া নাড়তে শুরু করে দিয়েছে মহামারীর তৃতীয় ঢেউ। তার এপি সেন্টার বা ভরকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে সেই কেরল।
এমন সম্ভাবনার কথা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসক মহল। কারণ, কেরলে সংক্রমণের ‘আর ভ্যালু’র বাড়বাড়ন্তকে কোনওভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করে এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, ‘দেশের একটা বড় অংশে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি কপালে ভাঁজ ফেলেছে। ওইসব এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে কোভিড নিয়ন্ত্রণে মারমুখী মনোভাব নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’ এক্ষেত্রে তিনি ‘কনটেইনমেন্ট’ নীতি প্রয়োগের পাশাপাশি ‘থ্রি-টি’ দাওয়াইয়ের পরামর্শ দিয়েছেন। অর্থাৎ, সংক্রমণ প্রবণ এলাকায় কনটেইনমেন্ট জোন গড়ে দ্রুততার সঙ্গে টেস্ট (পরীক্ষা), ট্র্যাক (চিহ্নিতকরণ) এবং ট্রিট (চিকিৎসা)-এর উপর জোর দিতে হবে।
এখন প্রশ্ন হল ‘আর ভ্যালু’ নিয়ে এত উদ্বেগ কেন? ১০০ জন কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি মোট কতজন মানুষকে সংক্রামিত করছে, তা নির্ধারণ করা হয় এই ‘আর ভ্যালু’ সূচকের মাধ্যমে। বিষয়টি আরও সহজ করে বললে, একশো জন আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে যদি ৬০ জন সংক্রামিত হন, তা হলে ‘আর ভ্যালু হবে ০.৬০। এই মুহূর্তে সংক্রমণের নিরিখে দেখা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই সূচক ক্রমেই বাড়ছে।
দ্বিতীয় ঢেউ স্তিমিত হওয়ার পর গোটা দেশের গড় হিসেব অনুযায়ী, ‘আর ভ্যালু’ শুরু হয় ০.৯৬ থেকে। এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১-এ। অর্থাৎ, ১০০ জন আক্রান্ত ব্যক্তি সমপরিমাণ লোককে সংক্রামিত করছেন। এর থেকে বেশি হলেই বিপত্তি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘আর ভ্যালু’ ১-এর ঘর ছাড়ালেই তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী।