ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত ‘চুরি’ করার অভিযোগ অনু মালিকের বিরুদ্ধে
কী কাণ্ড! টোকিও অলিম্পিকে সোনা পেল ইজরায়েলের (Israel) জিমন্যাস্ট। আর তার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনার শিকার (Anu Malik Trolled) বলিউডের সঙ্গীত পরিচালক অনু মালিক (Anu Malik)। কিন্তু কী কারণে অনু মালিককে ট্রোল করা হচ্ছে? কী সংযোগ রয়েছে দুই ঘটনার? অনু মালিকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ যে, তিনি ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীতের সুর চুরি করে সেটি ১৯৯৬ সালে অজয় দেবগণের ছবি ‘দিলজালে’-তে ব্যবহার করেছেন। সেই ছবির ‘মেরা দেশ মেরা মুলক’ গানটির সুর হুবহু মিলে যাচ্ছে ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত ‘হাতিকভাহ’-এর সঙ্গে।
কী ভাবে ঘটনাটি সামনে এল নেটিজেনের? টোকিওতে বসেছে ২০২০ অলিম্পিকের আসর। সেখানে রবিবার ইজরায়েলের জিমন্যাস্ট আর্টেম দলগোপেট দেশের হয়ে দ্বিতীয় সোনার মেডেল পান। সেই সময় দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। সেটি শুনেই বহু ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি আক্রমণ করতে শুরু করেন অনু মালিককে। কারণ ‘দিলজালে’ ছবির ওই গানটি ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীতের সুরের সঙ্গে হুবহু মিলে গিয়েছে। ১৯ শতকে ‘হাতিকভাহ’ গানটি তৈরি হয়েছিল, এবং ১৯৪৮ সাল থেকে এটি ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত।
এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই তীব্র সমালোচনার শিকার হতে শুরু করেছেন অনু মালিক। অনেকেরই প্রশ্ন, ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীতকেও নকল করতে ছাড়লেন না অনু মালিক? অনেকেই হতাশার সঙ্গে লিখেছেন, একটি দেশের জাতীয় সঙ্গীতকে বলিউডের গান বানিয়ে দিলেন অনু মালিক? অনেকেই বলিউডপ্রেমী দর্শকদের ঠকানোর অভিযোগ তুলেছেন অনু মালিকের বিরুদ্ধে। প্রায় ৪০ বছর ধরে বলিউডের সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন অনু মালিক। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও অন্য সঙ্গীত পরিচালকদের গান ও সুর চুরির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন অনু মালিক। তাঁর ঝুলিতে অসংখ্য হিট গান ও ছবি রয়েছে। দিল মেরা চুরায়া কিউ, নিন্দ চুরাই মেরি, নশা ইয়ে পেয়ার কা নশার মতো গান তৈরি করেছেন তিনি। আজনাবি, অশোকা, ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হু, ট্যাঙ্গো চার্লি, ম্যায় খিলাড়ি তু আনারি-র মতো বহু ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অনু মালিক।