করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে পুজোর আগেই পুরভোট
করোনা (COVID19) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে পুজোর আগেই রাজ্যে পুরসভার ভোট হয়ে যেতে পারে। তার আগেই অবশ্য রাজ্যের সাত বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করবে বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। তৃণমূল (TMC) সূত্রের খবর, কলকাতা জেলার নেতাদের বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ পুরভোট হতে পারে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিন। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তার উপর।
কোভিড আবহে কালে দু’দফায় ভোট করা যায় কি না, তা নিয়েও এখন সর্বোচ্চ স্তরে আলোচনা চলছে কমিশনের অন্দরে। সে ক্ষেত্রে একদিনে কলকাতা পুরসভার ভোট গ্রহণ করা হতে পারে। তার পর অন্য পুরসভাগুলির ভোট হতে পারে। রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা একাধিকবার জানিয়েছেন, বিধানসভার সাতটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন ও পুরভোট করানোর জন্য তাঁরা তৈরি আছেন।
তবে এর গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ড থেকে বিশেষজ্ঞ মহলের আশঙ্কা, অগাস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যে তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission) অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, এক মাস সময় পেলেই ১১২টি পুরসভার ২,৬৭৫টি ওয়ার্ডে ভোট করার সমস্ত প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। কিন্তু নতুন তিন পুরসভার ভোট একই সঙ্গে করতে হলে অল্প কিছু দিন বাড়তি সময় দিতে হবে।
নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, রাজ্যে এ বার তিনটি পুরসভা বাড়ছে। জলপাইগুড়ির ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ারে ময়নাগুড়ি নতুন পুরসভা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া বালিতে পুরসভা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। ফলে ১১২টি নয়, ১১৫টি পুরসভায় হবে পুরভোট। ওয়ার্ডের সংখ্যা দাঁড়াবে ২,৭৩০।
২০১৮ সালে হাওড়া পুরনিগম-সহ ১৮টি পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়। এর মধ্যে চন্দননগর পুরনিগমকে ভেঙে দেওয়া হয় অগস্টে। বাকিদের স্বাভাবিক নিয়মেই মেয়াদ শেষ হয়েছিল। ২০২০ সালের বিভিন্ন সময়ে কলকাতা পুরসভা-সহ ৯৪টি পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছিল। তার পর আর পুরভোট হয়নি রাজ্যে।