দলবদল রুখতেই দিল্লিতে হঠাৎ লকেট-নাড্ডার বৈঠক?
বঙ্গ রাজনীতিতে যেসব মহিলারা এই মূহুর্তে ময়দান কাঁপাচ্ছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যতিরেকে সেই তালিকায় প্রথম সারিতেই থাকবে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee) নাম। দেশজুড়ে যখন আভাস পাওয়া যাচ্ছিল যে নরেন্দ্র মোদী যখন মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করবেন, অনেকেই ভেবেছিলেন, লকেট মন্ত্রী হবেন। কিন্তু আদতে তা হয়নি। তারপরই বিজেপির এই হেভিওয়েট নেত্রীকে নিয়েই জল্পনা শুরু হয় দলের অন্দরে।
রাজ্য বিজেপির একাংশ রটিয়ে দেয় লকেট নাকি তৃণমূলের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। এমনিতেই গেরুয়া শিবিরে এখন দল ছাড়ার মরসুম। স্বাভাবিকভাবেই লকেটকে নিয়ে এই জল্পনার খবর খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে যায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। সংসদের বাদল অধিবেশন চলাকালীনই বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) কানে পৌঁছায় লকেটের ‘দল ছাড়ার ভাবনার’ কথা। তিনি লকেটের সাথে কথা বলতে লোক পাঠালে লকেট সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন তাঁর নামে কুৎসা রটাচ্ছে খোদ রাজ্য বিজেপির নেতাদেরই একাংশ।
এখন প্রশ্ন উঠছে লকেটের মতো নেত্রীর বিরুদ্ধে কারা করছেন এসব। লড়াইয়ের ময়দানে সব সময়ই ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গেছে লকেটকে। কিন্তু তার যোগ্য সম্মান কি ফিরে পেয়েছেন লকেট? মহিলা মোর্চার নেতৃত্ব অগ্নিমিত্রার হাতে, জুটলোনা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্বও। নিশীথ, শান্তনু ঠাকুররা দলে অপেক্ষাকৃত নবীণ হয়েও এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু সেই দলে নেই লকেট। দলে নিজের সর্বস্ব দিয়ে দিয়েও পরিবর্তে কী পেলেন তিনি? শুধু কুৎসা। তাই লকেটকে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।