পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে রোবোটিক ব্রেকার
প্রবল বৃষ্টিতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে পোস্তা উড়ালপুল (posta flyover) ভাঙার কাজ। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরে শেষ হতে চলেছে এর প্রথম পর্যায়ের ভাঙার কাজ। যা আগস্ট মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। গত ক’দিনের প্রবল বৃষ্টির জেরে কাজ এগনো সম্ভব হয়নি। তবে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে, কাজটি শেষ হবে সেপ্টেম্বরের ভিতরে। আর পুরো ফ্লাইওভার ভাঙার কাজটি আগামী ৩১ মার্চ বা আট মাসের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। গত ক’দিনের বৃষ্টিতে জেরবার গোটা রাজ্য। বৃষ্টিতে পিছিয়ে গিয়েছে পোস্তা ফ্লাইওভার ভাঙার কাজও। এবছর বিধানসভার ভোট শেষ হতেই সিদ্ধান্ত হয় বিপজ্জনক পোস্তা ফ্লাইওভার ভেঙে ফেলা হবে। ১৫ জুন থেকে ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুরু করতে বেশ দেরি হয়। প্রথম পর্যায় হিসেবে পোস্তা জংশন থেকে রবীন্দ্র সেতুর জংশন পর্যন্ত ভাঙার কাজ অগাস্ট মাসেই শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী ভিন রাজ্য থেকে যন্ত্র আনানোর কাজ শুরু হয়।
পোস্তার আশেপাশে বহু পুরোনো বাড়ি থাকায় মুম্বই থেকে বিশেষ যন্ত্র আনা হয়। রোবোটিক ব্রেকার (Robotic breaker) নামের ওই যন্ত্র দিয়ে কাজ করলে কোনও কম্পন হয় না। তাই ক্ষতির সম্ভাবনাও কম। বিশেষ কিছু সলিউশন ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যাতে কিছু অংশ ভাঙার প্রয়োজন হবে না। ঠিক ছিল এ-মাসেই এই যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষার পর কাজ শুরু হবে। কিন্তু বাদ সাধে বৃষ্টি। টানা বৃষ্টির জেরে কাজ করাই সম্ভব হয়নি। তবে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ আশা করছে, রোদের মুখ দেখতে পাওয়ায় দ্রুত কাজ শুরু করা সম্ভব। পোস্তা ফ্লাইওভার ভাঙার প্রথম অংশের কাজ সম্পন্ন হলে শুরু হবে দ্বিতীয় অংশ ভাঙার কাজ। গিরিশ পার্ক থেকে থেকে গণেশ টকিজ পর্যন্ত হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের ভাঙার কাজ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ছ’মাসের মধ্যেই সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। গোটা ফ্লাইওভার ভাঙতে মোট ১৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে। এই ফ্লাইওভার ভাঙার বরাত দেওয়া হয় রেলের অধীন সংস্থা রাইটসকে। এই ব্যাপারে পারদর্শী মুম্বইয়ের একটি সংস্থাকে ভাঙার দায়িত্ব দিয়েছে রাইটস। তবে এরপর নতুন ফ্লাইওভার তৈরির সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই সরকারি সূত্রের খবর।
পুরমন্ত্রী ও কেএমডিএ চেয়ারপার্সন চন্দ্রিমা এলাকা পরিদর্শন করে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তাঁর নির্দেশ, আশপাশের মানুষের কোনও ক্ষয়ক্ষতি যাতে না হয় সেইভাবেই ভাঙার কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। অন্যদিকে, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা ও পুলিস কমিশনার সৌমেন মিত্রকে সঙ্গে নিয়ে পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমও ওই এলাকা পরিদর্শন করেন।