আজ শো-কজে’র জবাব দেবেন অজন্তা, বাম রাজনীতিতে চাঞ্চল্য!
বাম রাজনীতিতে চাঞ্চল্য! সৌজন্যে অনিল বিশ্বাস কন্যা অজন্তা (Ajanta Biswas)। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পরে অনেকেই ভাবছিলেন, এবার প্রচারের আলো সরে গেল বাম রাজনীতির ওপর থেকে! তখনই চমক। প্রথমে অজন্তা, এবং তার পরে ক্ষিতি গোস্বামী কন্যা বসুন্ধরা। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) দৈনিক মুখপত্রে লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর দুজনেই এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। তবে সিপিএম (CPM) অন্দরে জল খানিকটা বেশিই ঘোলা হয়েছে। আলিমুদ্দিনের একাধিক শীর্ষ নেতা কথা বলেছেন অজন্তার সঙ্গে। আগেই তাঁকে দলের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল, যা কার্যত উড়িয়ে দেন অনিল কন্যা।
সিপিএমের অধ্যাপক ও গবেষকদের যে সংগঠন, তার সদস্য অজন্তা। রয়েছে পার্টির প্রাথমিক সদস্যপদও। যেহেতু এই সংগঠন সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির অন্তর্গত, সেই কারণে কলকাতা জেলা কমিটির তরফে “শোকজ” করা হয়েছিল অজন্তা কে। শুধু ওই দৈনিকে উত্তর সম্পাদকীয় লেখাই নয়, তার বিষয় নিয়েও আপত্তি তোলে পার্টি। অজন্তার লেখায় সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলন এবং সর্বোপরি তৃণমূল নেত্রী সম্পর্কে যে মতামত তিনি ব্যক্ত করেছেন তা পার্টির বিরোধী। কেন অজন্তা এমন লিখলেন তার কারণ জানতে চাওয়া হয় এই চিঠিতে।
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বুধবার সেই চিঠির জবাব দিচ্ছেন অজন্তা। সরাসরি কল্লোল মজুমদারের কাছে এই চিঠি পৌঁছনোর কথা। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, মোটেও ক্ষমা চাইছেন না তিনি। বরং ইতিহাসের একজন অধ্যাপক ও গবেষক হিসেবে “নির্মোহ” এবং কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে বেরিয়ে তিনি পুরো বিষয়টা দেখার চেষ্টা করেছেন। একই সঙ্গে, বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অজন্তা কে এই জবাবি চিঠির বয়ান তৈরিতে সাহায্য করেছেন অন্য কেউ।
প্রশ্ন উঠেছে কে তিনি? এই নিয়ে অজন্তা নিজে কিছু জানাতে না চাইলেও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে পাওয়া যাচ্ছে অন্য তথ্য। যে সাংবাদিকের অনুরোধে অজন্তা এই লেখাটি দিয়েছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বিশেষ পদে থাকা সেই প্রাক্তন সাংসদ-সাংবাদিক এই বয়ান তৈরিতে সাহায্য করেছেন অজন্তা কে। যদিও এই মূহুর্তে তিনি রাজ্যের বাইরে। পাশাপাশি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এই বিষয়ে যা বলার অজন্তা বলবেন।
রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অজন্তা কি প্রয়োজনে আরও “কড়া” মনোভাব নিতে পারেন দলের প্রতি? সেক্ষেত্রে সিপিএম ও “কড়া” প্রত্যাঘাতের পথে হাঁটতে পারে।