ত্রিপুরায় তৃণমূল শক্তিশালী হতেই বিপ্লবের পদ যাওয়ার জল্পনা
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হতে পারে বিপ্লব কুমার দেবকে। বিপ্লব দেবের নামে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে BJP কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। তিনি সরকার ঠিক মত চালাতে পারছেন না বলেও অভিযোগ।
২০২৩ সালে এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এখন থেকেই ওই নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে তৃনমূল কংগ্রেস। সোমবার আগরতলা গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরার মাটিতে যখন তৃণমূল পা রেখেছে, আগামী দেড় বছরের মধ্যে এই রাজ্যে উন্নয়নের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’ এই সঙ্গেই বলেন, ‘বিপ্লববাবু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্যাড ছাপিয়ে রাখুন। বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে।’
বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা এবং BJPর নেতা সুবল ভৌমিক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এদিকে BJP সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপ্লব দেবকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। জানা গিয়েছে, দলের মধ্যেই বিপ্লব দেবের কিছু কাজ নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে। সেই রাজ্যের নাগরিক সমাজও মুখ্যমন্ত্রীর কাজে খুশি নন। এই রাজ্যের বেশ কিছু হিংসা এবং misgovernance নিয়েও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে।
সম্প্রতি BJPর কেন্দ্রীয় কিছু নেতা এবং পর্যবেক্ষক ঘুরে গিয়েছেন ত্রিপুরা। তাঁরা কথাও বলেছেন দলের নেতাদের সঙ্গেও। রাজ্যের জেলা কাউন্সিলের ভোটেও BJP খারাপ ফল করে। এই জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করেন অনেকেই। Biplab Deb-এর জায়গায় নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সেটা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। ত্রিপুরার রাজপরিবারের সন্তান, বর্তমান উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মণকে মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছেন ত্রিপুরার BJP সভাপতি মানিক সাহা। রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মণর নামও চিন্তাভাবনায় আছে বলেও জানা গিয়েছে।
দলের এক নেতা বলেন, ‘এই রাজ্যে BJPর বিরুদ্ধে একটা চোরাস্রোত কাজ করছে। আগামী দিনে তা আরও মারাত্মক হতে পারে। তাই এই চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’ উল্লেখ্য গত কয়েক মাসে হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটক রাজ্যেও মুখ্যমন্ত্রীদের বদল করেছে BJP।