দেশ বিভাগে ফিরে যান

মিশন ২০২৩ – ক্যালেন্ডার ধরে ত্রিপুরা যাবে তৃণমূল নেতৃত্ব

August 4, 2021 | 2 min read

টার্গেট দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরায় উন্নয়নের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আর সেই লক্ষ্যে সংগঠন গোছাতে পুরোদস্তুর নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ক্যালেন্ডারের তারিখ ধরে ত্রিপুরায় পা রাখবেন জোড়াফুলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সোমবার ত্রিপুরা সফরে গিয়ে ‘বিজেপির বিদায় ঘণ্টা’ বাজানোর ডাক দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন বিজেপির সরকারের পরাজয় হবে ২০২৩ সালের ভোটে। তমসাছন্ন ত্রিপুরায় হবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে উন্নয়নের ‘নতুন ভোর’। 

কিন্তু সোমবারের আগরতলায় যে ঘটনা ঘটেছে, তা দেখেছে গোটা দেশ। আগরতলা পৌঁছনোর পর নানাভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়। বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। বিশেষ করে লাঠি-বাঁশ-লোহার রড দিয়ে গাড়িতে হামলার ঘটনার ভিডিও সামনে এনেছেন অভিষেক। মঙ্গলবার ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সুবল ভৌমিক বলেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাত্রাপথে ১৩টি জায়গায় হামলা হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর করেছে। জীবন সংশয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পুলিস নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। পুলিস কতটা নগ্ন হতে পারে, এই ঘটনা তার প্রমাণ। এমনকী ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্বকে সাফাই দিতে হয়েছে। বিজেপি বিধায়ক রতন চক্রবর্তী বলেছেন, এই ঘটনা দল সমর্থন করে না। 

এদিকে, অভিষেকের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজ্যের সর্বত্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মিছিল, পথসভা থেকে ঘটনার নিন্দা করা হয়। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি ভয় পেয়েছে। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলা হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল পিছিয়ে আসে না। উত্তর ২৪ পরগনার প্রতিটি ব্লকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলে জানান জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জয়া সিনেমা হল থেকে ভিআইপি লেকটাউন মোড় পর্যন্ত ধিক্কার মিছিলে ছিলেন মন্ত্রী সুজিত বসু। মধ্যমগ্রামে পুরসভার সামনে থেকে মিছিল যায় সোদপুর রোডের ফ্লাইভার পর্যন্ত। প্রকাশ রাহা, নিমাই ঘোষ, প্রহ্লাদ দত্তরা হাজির ছিলেন। অশোকনগর, আমডাঙা, বসিরহাট, হাওড়া সদরে প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে।

অন্যদিকে, বাংলার পর ত্রিপুরাই যে এখন তৃণমূলের পাখির চোখ, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক। তাই সংগঠন সাজাতে বিন্দুমাত্র দেরি করতে রাজি নন তিনি। দিন কয়েকের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে ত্রিপুরার রাজ্য ও জেলা কমিটি। আর এই বছরের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে ত্রিপুরা জেলার ৩৩২৪টি বুথের কমিটি। সোমবার ত্রিপুরায় পৌঁছে সাংগঠনিক বিষয়ে কথাবার্তা বলেছেন অভিষেক। দলীয় সূত্রে খবর, এখন থেকে প্রায়ই কলকাতা থেকে ত্রিপুরায় যাবেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। ক্যালেন্ডার তৈরি করে ফেলা হচ্ছে। ব্রাত বসু, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়রা এই মাসের মাঝামাঝি ফের ত্রিপুরায় পা রাখতে চলেছেন। আজ, বুধবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন কুণাল ঘোষ। দলের অন্যান্য নেতারাও পর্যায়ক্রমে যাবেন বাঙালির সেকেন্ড হোমল্যান্ডে। তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তরা ত্রিপুরায় রয়েছেন। তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে সংগঠন নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন। বুথস্তর পর্যন্ত ত্রিপুরায় সংগঠন বিস্তারে জোর দিয়েছে জোড়াফুল।

ত্রিপুরায় নজর দিয়েছে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটিও। দলের দুই শীর্ষ নেতা অভিনাশ পাণ্ডে ও টিএন সিং দেও গিয়েছেন ত্রিপুরায়। আগামিদিন আরও কংগ্রেস নেতারা পা রাখতে চলেছেন। হবে রাজ্য সম্মেলন। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mission 2023

আরো দেখুন