নিজের গড়েই লজ্জাজনক হার শুভেন্দুর, ভবিষ্যত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
অধিকারী পরিবারের গড় বলে পরিচিত কাঁথিতেই দুটি ভিন্ন ঘটনা। একদিকে যখন আদালতের নির্দেশে শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের (Contai Cooperative bank) চেয়ারম্যান পদে বহাল রইলেন, ঠিক সেই দিনই কাঁথি কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের (Contai Co-operative union) সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ভোটাভুটির মাধ্যমে। যার জেরে উল্লসিত স্থানীয় তৃণমূল শিবির।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকার সময় থেকেই তাঁকে কাঁথি কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের সভাপতির পদ থেকে সরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় এলাকায় অধিকারী পরিবারের গুরুত্বের কথা বিবেচনায় জোর পাওয়া যায়নি। তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়নের পদ থেকে অপসারণের চেষ্টা শুরু হয়।
কাঁথি কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের সম্পাদক হরিসাধন দাস অধিকারী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইউনিয়নের ১৫ জন ডিরেক্টরের মধ্যে ১৩ জনে শুভেন্দু অধিকারীকে সভাপতির পদ থেকে সরানোর ব্যাপারে মত দিয়েছেন। তারপরেই ওই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কাঁথি কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের যোগাযোগ কমে গিয়েছিল। যার জেরে এলাকায় সমবায় আন্দোলন ধাক্কা খাচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এর পিছনে কোনও রাজনীতি নেই বলে দাবি করেছেন তিনি। এব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের দাবি, পুরো ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের তরফে এর পিছনে রাজনীতি না থাকার সাফাই দেওয়া হলেই, জেলার বিশিষ্টমহলের মত হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সমবায় ব্যবস্থার সঙ্গে রাজনীতি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। যেটা বাম আমলে ছিল এখনও রয়েছে। এই মুহূর্তে তৃণমূল চাইছে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে জেলার সমবায় ব্যবস্থার যাবতীয় যোগসূত্র কেটে দিতে। মূলত এগরা ও কাঁথি মহকুমায় সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত যাঁরা তাঁরাই কাঁথি কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের সদস্য। এই জায়গা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সরাতে পারলে সমবায়ের সঙ্গে যোগাযোগ কমাতে পারা যাবে বলেও মনে করছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের অনেকে।