মোদী সরকারের সমালোচনায় মুখর তৃণমূল, ভয় পেয়েই কি রাজ্যসভায় সাসপেন্ড সাংসদরা?
শান্তনু সেনের পর আজ তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ৬ সাংসদকে সাসপেন্ড করলেন রাজ্যসভার (Rajya Sabha) চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু।
সাসপেন্ড করা হল দোলা সেন, মহম্মদ নাদিমুল হক, আবির রঞ্জন বিশ্বাস, শান্তা ছেত্রী, অর্পিতা ঘোষ, মৌসম বেনজির নুর কে। শুধুমাত্র আজকের জন্যই তাদেরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের পদকে অসম্মান করা ও ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোয় সাসপেন্ড করা হয় তাদের।
বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই মূল্যবৃদ্ধি পেগাসাস সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হয়েছে বিরোধীরা, আর এই বিরোধী জোটকে পথ দেখিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পেগাসাস (Pegasus) নিয়ে আলোচনার জন্য প্রতিদিন ই দুই কক্ষে সরব হয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূল কংগ্রেসের ৬ সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে মোদীকে আক্রমণ করে টুইট করেন অভিষেক।
আজ দিনের শুরুতেই রাজ্যসভায় ৫ টি বিল পাস করানোর কথা ছিল। শুরু থেকেই বিরোধীদের হৈ হট্টগোলে মুলতুবি হয় রাজ্যসভা। এই ৫ টি বিল কোন রকম বাধা বিপত্তি ছাড়াই যাতে পাস করানো যায় তাই কি সরকারের এই সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
রাজ্যসভা সাংসদকে বহিষ্কারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগে টুইট করেন দোলা সেন। তিনি দাবি করেন সারা দিনের মত রাজ্যসভার কার্যাবলি মুলতুবি হওয়ার পরও তাদের রাজ্যসভায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁর যুক্তি, কার্যাবলি শেষ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই তাদের বহিষ্কারের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তাহলে কেন তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হল, প্রশ্ন দোলার।
তৃণমূল সাংসদদের বহিষ্কারের ইস্যুতে কেন্দ্র-তৃণমূল দুই পক্ষই অনমনীয় এবং রনং দেহি মূর্তি ধারণ করেছে। তাই কাল যে আবার উত্তপ্ত হবে সংসদ, তা আঁচ করা যাচ্ছে।