‘চিৎকার করে লাভ নেই’ দিল্লির নির্যাতিতার মাকে বলেছিল ধৃত পুরোহিত
দলিত কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল দিল্লি। উঠছে পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। এরই মধ্যে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন মৃতার মা। তিনি জানিয়েছেন, শ্মশানঘাটের পুরোহিত রাধেশ্যাম তাঁকে গোটা বিষয়টি চেপে যেতে বলেছিলেন। কান্নাকাটি বা চিত্কার-চেঁচামেচি না করে বাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার ‘উপদেশ’ দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। ইতিমধ্যেই পুরোহিত সহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।
কিশোরীর মা বলেন, ‘কয়েকজন এসে আমাকে শ্মশানে যেতে বলেন। সেই মতো আমি সেখানে যাই। রাধেশ্যাম বলেন, আমার মেয়ে মারা গিয়েছে। আমি জানতে চাই, কীভাবে? সেইসঙ্গে পুলিসকে জানানোর কথাও বলি। কিন্তু, পুরোহিত রাজি হয়নি। তখনই মেয়ের দেহ পুড়িয়ে ফেলতে আমায় চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। উনি বলেন, পুলিসে জানালে সমস্যায় পড়তে হবে। কোর্টে মামলা হবে। মেয়ের দেহ হাসপাতালে নিয়ে যাবে। সেখানে পুলিস ও ডাক্তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বের করে বিক্রি করে দেবে।’ নির্যাতিতার মা আরও বলেন, ‘মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। আমাদের দেহের কাছাকাছি ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। দূরে বসিয়ে রাখা হয়। পুরোহিত বলেছিলেন, চিত্কার বা কান্নাকাটি করে লাভ নেই। বাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়। কাল সকালে এসে চিতাভস্ম নিয়ে যাস।’
এরপর তিনি পরিবারের সকলকে খবর দেন। সকলে শ্মশানে ছুটে আসেন। কিন্তু, ততক্ষণে শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পুলিসের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও করেছেন নির্যাতিতার মা-বাবা। তিনি বলেন, ‘আমাদের থানায় নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। আমাকে আর আমার স্বামীকে আলাদা আলাদা করে বসিয়ে রাখা হয়েছিল।’ এদিকে কিশোরীর ময়নাতদন্ত হলেও রিপোর্ট অসম্পূর্ণ এসেছে। ফলে ঘটনার প্রকৃত তথ্য জানতে অভিযুক্তদের লাই ডিটেক্টর সহ বেশ কিছু পরীক্ষা করা হবে বলে খবর।