জাগো বাংলায় লেখা নিয়ে কবি মন্দাক্রান্তার মিথ্যাচার, ফাঁস করলেন প্রকাশক
জাগো বাংলায় অজন্তা বিশ্বাসের (Ajanta Biswas) উত্তর সম্পাদকীয় সিরিজ নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এবার লেখার প্রস্তাব দেওয়া হল কবি মন্দাক্রান্তা সেনকে (Mandakranta Sen)। তৃণমূল মুখপত্রে তাঁর লেখা চেয়ে একটি মেসেজ পাঠানো হয় কবিকে। জবাবে তাঁর ব্যবহারে ক্ষোভ পঞ্জীভূত হয়েছে লেখক ও প্রকাশক মহলে।
জাগো বাংলার শারদীয় সংখ্যার জন্য একটি লেখা চেয়ে মন্দাক্রান্তা সেনের কাছে প্রস্তাব আসে। কিন্তু তিনি বেশ কিছুদিন জবাব না দেওয়ায় একটি রিমাইন্ডার পাঠানো হয় তাঁকে। তাতেই রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে যান কবি। ফেসবুকে ‘জাগো বাংলার’ স্পর্ধা নিয়ে পোস্ট করেন। এরপরই জাগো বাংলার তরফে সরব হন জাগো বাংলার শারদ সংখ্যার দায়িত্বে থাকা রুপা মজুমদার।
রুপা দেবী লেখেন, খুব অবাক হয়েছিলাম আমি, কারণ আমি তার পূর্বপরিচত এবং কবিতা দিতে অপারগ এটি আমাকে সরাসরি জানাতেই পারতেন। তাকে এই বিষয় প্রশ্ন করতে, তিনি জানান, তিনি আমাকে চেনেনই না। আমি স্তম্ভিত।
এহেন আচরণের কারণ কী হতে পারে, সেটি নিয়েও ব্যাখ্যা দেন রুপা মজুমদার (Rupa Majumdar)। লেখেন, প্রথম দিন তার কবি সত্ত্বা জাগ্রত ছিল, তাই কবিতা দিতে রাজি ছিলেন। দ্বিতীয় দিন, কোনও রাজনৈতিক দাদা বা দিদির প্ররোচনায় তার রাজনৈতিক সত্ত্বার জাগরণ হয় এবং কবি সত্ত্বা বিদায় নেয়। তারও পরে যখন তিনি আমাকে চিনতেই অস্বীকার করেন – তার কোন সত্ত্বার জাগরণ হয় সেটা পাঠক বন্ধুরাই বিবেচনা করুন।
মন্দাক্রান্তা বা সমমনোভাবাপন্ন মানুষের আচরণ প্রমাণ করে এদের উদারতার অভাব, এরা মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। তাহলে কি এই কারণেই তারা মানুষের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা হারিয়ে ফেলছে? পাঠকরাই এই প্রশ্নের জবাব দেবেন।