যোগী রাজ্যে শিশু সংক্রান্ত অপরাধ সবচেয়ে বেশি
বিজেপি (bjp) শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশেই শিশুরাা(Child) সবথেকে বেশি অপরাধের শিকার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আর এক ডবল ইঞ্জিন রাজ্য মধ্যপ্রদেশ। শুক্রবার লোকসভায় লিখিতভাবে এই কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান পেশ করেছে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক। আর এই কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানেই সৃষ্টি হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, শিশুদের উপর হওয়া অপরাধের ক্ষেত্রে গোটা দেশের নিরিখে তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো অবস্থানেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এদিন লোকসভায় কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি রাজ্যে রাজ্যে নথিভুক্ত হওয়া শিশুদের উপর হওয়া অপরাধের ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান পেশ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি সংসদে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) যেমন তথ্য দিয়েছে, তার ভিত্তিতেই উল্লিখিত পরিসংখ্যান পেশ করা হয়েছে।
এদিন সংসদে কেন্দ্রীয় সরকার লিখিতভাবে যে তথ্য পেশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৭ থেকে ২০১৯ এই তিন বছরে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) মোট ৫৮ হাজার ২৪টি শিশুদের উপর হওয়া অপরাধের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এই পরিসংখ্যান সারা দেশের মধ্যে সর্বাধিক। এরপরেই রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। এই রাজ্যে উল্লিখিত তিন বছরে মোট নথিভুক্ত হওয়া এমন ঘটনার সংখ্যা ৫৭ হাজার ৫৮টি। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৮ সালে উত্তরপ্রদেশে শিশুদের উপর হওয়া অপরাধের মোট ১৯ হাজার ৯৩৬টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এই সংখ্যাটা তার আগের বছরের তুলনায় সামান্য বেশি। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশে ২০১৯ সালে এমন ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে ১৯ হাজার ২৮টি। ২০১৮ সালের তুলনায় ওই সংখ্যা সামান্য বেশি। পশ্চিমবঙ্গে ২০১৯ সালে শিশুদের উপর হওয়া অপরাধের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে ৬ হাজার ২৮৬টি। এদিন লোকসভায় এই সংক্রান্ত যে পরিসংখ্যান পেশ করেছে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক, তাতে স্পষ্ট উল্লিখিত তিন বছরে শিশুদের উপর হওয়া অপরাধের ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৭ সালে সারা দেশে নথিভুক্ত এমন ঘটনার সংখ্যা ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৩২টি। ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৭৬৪টি। এবং ২০১৯ সালে তা আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৮৫টি।
রাজনৈতিক তথ্যাভিজ্ঞ মহলের প্রশ্ন, কেন্দ্রের মোদি জমানায় কি তাহলে শিশুরা সুরক্ষিত নয়? শিশুদের উপর ঠিক কোন ধরনের অপরাধ হয়েছে, তার উল্লেখ অবশ্য লিখিত জবাবে নেই। তবে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে কি না, তার উপর নজরদারি চালানোর দায়িত্ব রয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের উপর। কেন্দ্রীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন চাইল্ড কেয়ার ইনস্টিটিউশনগুলির (সিসিআই) উপর সোশ্যাল অডিটও করেছে। সেখানে যেসব অনিয়ম ধরা পড়েছে, তা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও জানানো হয়েছে যাতে, তাঁরা অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারেন।