বিজেপিতে অন্তর্কলহ? অমিত মালব্যর আইটি সেলকে ‘হুঁশিয়ারি’ যোগীর
সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ‘বেলাগাম ঘোড়া’। এর রাশ টানা দরকার। এমনটাই জানিয়ে বিজেপি (BJP) আইটি সেলকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। সেই সঙ্গে দলীয় কর্মীদেরও তিনি সতর্ক করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার ফাঁদে পা না দিতে।
শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে ক্ষোভ উগরে দিয়ে যোগী বলেন, ”প্রিন্ট ও ভিস্য়ুয়াল মিডিয়াগুলির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ওসব নেই। যদি আপনি সতর্ক থাকতে না পারেন তাহলে মিডিয়া ট্রায়ালের টপিক হয়ে উঠতে হবে। তাই এই বেলাগাম ঘোড়াটাকে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। আর সেজন্য আমাদের দরকারি প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি দরকরা।”
গত এপ্রিল-মে মাসে দেশের যে ক’টি রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সবচেয়ে ভয়াবহ ছবি দেখা গিয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল উত্তরপ্রদেশ। হাসপাতালে অক্সিজেন ও বেডের হাহাকার কিংবা নদীতে ভেসে যাওয়া মৃতের সারির ছবি আতঙ্কিত করেছিল দেশবাসীকে। সেই সময় খোদ বিজেপিরই বহু নেতা যোগী সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন সংক্রমণ সামলাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য। এতেও যে বেজায় চটেছেন যোগী তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে তাঁর মন্তব্যে। যোগীর কথায়, ”আমাদের নিজেদের লোকরাই এমন প্রভাবিত হয়ে পড়লেন যে তাঁরা বিরোধীদের মোমবাতি মিছিলে অংশ নিয়ে ফেলেন।”
তাঁর কথায় উঠে আসে পেগাসাস প্রসঙ্গও। পাশাপাশি আইটি কর্মীদের যোগী মনে করিয়ে দেন, ‘মহরত’-এর জন্য অপেক্ষা না করে এখন থেকেই কাজে লেগে পড়তে হবে। সাম্প্রতিক একটি ঘটনার কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের একটি স্থানীয় ঘটনাকে কেন্দ্র করে অন্য দেশের মানুষরা, যাঁদের সঙ্গে এই রাজ্যের কোনও সম্পর্ক নেই তাঁরাও মিডিয়া ট্রায়াল বসিয়েছিলেন। এই ধরনের প্রবণতাকে তীব্র আক্রমণ করে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন যোগী।
তাহলে কি সোশ্যাল মিডিয়ার সব খারাপ? যোগী অবশ্য তা মনে করছেন না। তাঁর মতে, সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে অনেক সদর্থক কাজও করা সম্ভব। তবে তা নির্ভর করছে মানুষের উপরই।