কন্যাশ্রীতে সেরা কাজের স্বীকৃতি, পুরস্কৃত হবে আলিপুরদুয়ার জেলা
কন্যাশ্রী প্রকল্পে আলিপুরদুয়ার জেলার মুকুটে নতুন পালক জুড়ল। কন্যাশ্রী প্রকল্পে ভালো কাজের সুবাদে পুরস্কৃত করা হবে আলিপুরদুয়ার জেলাকে। আগামী ১৪ আগস্ট কন্যাশ্রী দিবস। ওই দিন কলকাতায় অন্যান্য জেলার মতো সেরা পারফরমেন্সের সুবাদে আলিপুরদুয়ার জেলাকেও পুরস্কৃত করা হবে।
কন্যাশ্রী প্রকল্পে ভালো কাজের নিরিখে রাজ্যের ২৬টি জেলার মধ্যে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে পৌঁছেছে আলিপুরদুয়ার। আর এ খবর চাউর হতেই জেলাজুড়ে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে। উচ্ছ্বসিত শিক্ষা মহল ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও কর্মীরাও।
কন্যাশ্রী প্রকল্পে ভালো পারফরম্যান্সের জন্য রাজ্যের চারটি জেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তালিকায় আছে একটি মহকুমা পরিষদও। ওই চারটি জেলার মধ্যে রয়েছে আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, দার্জিলিং ও কোচবিহার। মহকুমা পরিষদ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদকে।
আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রনাথ মিনা বলেন, কন্যাশ্রীতে ভালো কাজের বিচারে আলিপুরদুয়ার জেলার পয়েন্ট ৯৯.৮২। তারপরই রয়েছে কালিম্পং জেলা। ওই জেলার পয়েন্ট ৯৯.৮১। তারপর দার্জিলিংয়ের পয়েন্ট ৯৯.৬৬, কোচবিহারের পয়েন্ট ৯৯.৩৬। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের পয়েন্ট ৯৯.১৯।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ আগস্ট শনিবার কন্যাশ্রী দিবস। ওই দিন কলকাতায় কন্যাশ্রীতে ভালো কাজের সুবাদে অন্য জেলার সঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলাকেও পুরস্কৃত করা হবে। জেলা থেকে একজন এডিএম কলকাতায় ওই পুরস্কার আনতে যাবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, আবেদনকারীদের অভিযোগ কত দ্রততার সঙ্গে খতিয়ে দেখে তা মেটানো হয়েছে, কন্যাশ্রীর কাজ কত দ্রুত করা হয়েছে, কত তাড়াতাড়ি কন্যাশ্রী রিনিউ করা হচ্ছে। এসব কাজের নিরিখে উত্তরবঙ্গের চারটি জেলা ও একটি মহকুমা পরিষদকে এই পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে।
কন্যাশ্রী রাজ্য সরকারের একটি উল্লেখযোগ্য জনমুখী প্রকল্প। গোটা বিশ্বে এই প্রকল্প শিক্ষানুরাগী মানুষের প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে। রাজ্য সরকারের এই কন্যাশ্রী প্রকল্পের দু’টি পর্যায় আছে। প্রথমটি কে-১ এবং দ্বিতীয়টি কে-২।
আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কে-১ প্রকল্পের টাকার জন্য ২০২০-’২১ আর্থিক বছরে ৪৪ হাজার ২৪৮টি আবেদন জমা পড়েছিল। আবেদন মঞ্জুর হয়েছিল ৪৪ হাজার ১৮৭টি। এরমধ্যে ইতিমধ্যে টাকা দেওয়া হয়েছে ৪৩ হাজার ৯১১ জনকে। অন্যদিকে, কে-২ প্রকল্পে ২০২০-’২১ আর্থিক বছরে ৯ হাজার ৭৬৮টি আবেদন জমা পড়েছিল। মঞ্জুর হয়েছিল ৯ হাজার ৭১৮টি আবেদন। টাকা দেওয়া হয়েছে ৯ হাজার ৬৮৫ জনকে।
প্রসঙ্গত, অষ্টম শ্রেণি থেকে ছাত্রীরা কন্যাশ্রী-১ প্রকল্পে বছরে ১০০০ টাকা করে পায়। ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর তাঁরা কন্যাশ্রী-২ প্রকল্পে চলে যান। সেখানে তাঁরা ২৫ হাজার টাকা পান। কন্যাশ্রী প্রকল্পে জেলায় এই ভালো কাজের জন্য জেলাশাসক সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের জেলা আধিকারিক, পড়ুয়া ও শিক্ষক মহলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।