ট্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের ধর্মঘট উঠলেও তেল সরবরাহে সমস্যা অব্যাহত
ধর্মঘট উঠলেও, রবিবারেও কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে গিয়েছে বলে অভিযোগ। শনিবার দুপুর থেকে ধর্মঘট তুলে নেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশন। তেল সরবরাহ দু’দিন অনিয়মিত হওয়ায়, ছুটির দিন রবিবারেও সমস্ত পাম্পে তারা তেল পৌঁছে দেবে বলে জানিয়েছে। সেইমতো শনিবার বিকেল থেকেই মৌড়িগ্রাম ডিপো থেকে তেল সরবরাহ শুরু করে অয়েল ট্যাঙ্কারগুলি। কিন্তু টানা দু’দিনের ধর্মঘটের ফলে কলকাতা, হাওড়া হুগলি, দুই ২৪ পরগনা ও নদীয়ার একাংশের প্রায় বেশিরভাগ পাম্পই তেলশূন্য হয়ে পড়ে। দুর্ভোগে পড়েন বহু মানুষ। ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় সেই সমস্যা অবশ্যই কমেছে। তবু রবিবারও কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রের খবর, কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতে এদিন তেল সরবরাহ হয়েছে। তবে কিছু পাম্পে তেল পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। সোমবার থেকেই সমস্যা সম্পূর্ণ মিটে যাবে। অনুমান করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তবে এদিনও অনেক পাম্পে তেল না-থাকায় বহু মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। এরকমই হুগলির গরলগাছার বাইক-আরোহী অনিমেষ পাঁজা বলেন, রোজই আমাকে বালি যেতে হয়। দু’দিন পাম্পে গিয়ে খালি হাতেই ফিরেছি। শনিবার ধর্মঘট মেটার পর আশা করেছিলাম, পাম্পে তেল পাব। কিন্তু রবিবার সকালে দু’টি পাম্পে খুঁজেও পাইনি। দ্রুত সুরাহা চাই। না-হলে, যাঁদের পেশা মূলত বাইক-নির্ভর তাঁদের রুটিরুজিতে টান পড়তে পারে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সম্পাদক প্রসেনজিৎ সেন বলেন, বেশিরভাগ পাম্পেই তেল পৌঁছে গিয়েছে। সমস্যাটা অল্পকিছু পাম্পের। রবিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি। তাই সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে। বিশেষত দূরবর্তী পাম্পগুলিতে। একে তেলের দাম খুব বেশি, অন্যদিকে ধর্মঘটে বহু পাম্পই ড্রাই। জোড়া সমস্যা। বাড়তি দুর্ভোগ হল মানুষের।
এদিকে, ট্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, পাম্প ড্রাই ছিল একথা সত্য নয়। অর্ডার অনুযায়ীই আমরা তেল পাঠিয়েছি। সোমবারও একই নিয়মে তেল পৌঁছবে।