উলটপুরাণ! উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউতে অনুপস্থিত প্রায় ১৯০০ প্রার্থী
নিতান্ত সাধারণ চাকরিতে উচ্চশিক্ষিতদের আবেদনের ঘটনা হামেশাই সামনে আসে। এবার সামনে এল ঠিক উল্টো চিত্র। লোক অমিল স্কুল শিক্ষকতার মতো ‘মহার্ঘ’ চাকরিতে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে উচ্চ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। সদ্য ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদের জন্য ১৫ হাজার ৪৩৬ জনকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তথ্য বলছে, ইন্টারভিউয়ে ১৯০০ প্রার্থী উপস্থিতই হননি। এদিন স্কুলশিক্ষা কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন এসএসসির কর্তারা। সেখানেও বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।
কেন এরকম ঘটনা ঘটল? অভিজ্ঞ মহলের মতে, দীর্ঘদিন আইনি প্রক্রিয়ায় উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ ঝুলে থাকাই এর কারণ। চাকরিতে অনীহা নয়, বরং অধিকাংশই অন্যত্র চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। এর মধ্যে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নিয়োগ তো রয়েছেই। পাশাপাশি শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষাতেও বহু শিক্ষক চাকরি পেয়েছেন। খুব কম হলেও কলেজের চাকরিতে গিয়েছেন কিছু। পিএসসি দিয়ে কেউ কেউ চাকরি পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের চাকরিও পেয়েছেন শিক্ষকদের একটা অংশ। তবে, সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে। এসব নিয়োগ প্রক্রিয়া উচ্চ প্রাথমিকের বহু পরে শুরু হয়ে আগে শেষ হয়ে গিয়েছে।
তবে, এই ঘটনায় কমিশন কিছুটা বিপাকে পড়েছে। কে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন বা কে ইন্টারভিউয়ে উপস্থিত হবেন না, তা কমিশনের পক্ষে আগে থেকে জানার কথা নয়। পাশাপাশি বেশ কিছু প্রার্থীর আবেদন বাতিল হয়েছে ইন্টারভিউ টেবিলে। কারণ তাঁরা শিক্ষাগত যোগ্যতার যথাযথ প্রমাণাদি দাখিল করতে পারেননি। এমন প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬০০ বলে জানা যাচ্ছে কমিশন সূত্রে। এই অবস্থায় শূন্যপদ পূরণই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কি পরবর্তী প্রার্থীদের ফের ইন্টারভিউয়ে ডাকা হতে পারে? এখনই সেই সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না কমিশন। কারণ নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরোটাই চলছে আদালতের নজরদারিতে। এখন আগ বাড়িয়ে কোনও পদক্ষেপ করলে, তা আদালতের অপছন্দ হতে পারে। এই মুহূর্তে সেই ঝুঁকি নিতে নারাজ কমিশন।