তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে ১৮ আগস্ট প্রথম প্রশাসনিক বৈঠক মমতার
২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর রাজ্য প্রশাসনকে মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্লকে ব্লকে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। প্রথমে জেলাস্তরে, পরে ব্লকস্তরে ওই বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব সহ সব দপ্তরের প্রধান সচিব থেকে সব দপ্তরের ব্লক স্তরের অফিসাররা থাকেন। করোনার কারণে গত দেড় বছর জেলায় গিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠান আটকে যায়। নবান্ন সভাঘর থেকেই ভার্চুয়াল বৈঠকে ওই বৈঠক হয়। সব মিলিয়ে রাজ্য প্রশাসনিক স্তরের বৈঠকের সংখ্যা শ’পাঁচেক হবে। পরবর্তী রাজ্য প্রশাসনিক বৈঠক হবে ১৮ আগস্ট বেলা ৩টে নাগাদ। নবান্ন সভাঘর থেকে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জেলাশাসক, পুলিস সুপার, পুলিস কমিশনার সহ জেলাস্তরের অফিসাররা ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর এটাই প্রথম রাজ্যস্তরে প্রশাসনিক বৈঠক।
সেই বৈঠকে ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া দুয়ারে সরকার কর্মসূচির পর্যালোচনা করা হবে। পর্যালোচনা হবে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, নতুন কৃষকবন্ধু প্রকল্প, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং দুয়ারে রেশন প্রকল্প নিয়ে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। যার মাধ্যমে মহিলারা তাঁদের অ্যাকাউন্টে ৫০০ বা এক হাজার টাকা পাবেন। তবে সরকারের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল, দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করা। সেই প্রকল্প নিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি খাদ্যদপ্তরের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দপ্তরের যেসব কর্মসূচি চলছে, তা নিয়েও প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করবেন। জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে।
বিশেষ করে প্রবল বর্ষণ এবং ডিভিসির জল ছাড়ার জন্য বিভিন্ন এলাকা বানভাসি হয়ে পড়েছে। বহু মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছেন। ত্রাণ শিবিরে ঠাঁই হয়েছে তাঁদের। অনেক মানুষ মারা গিয়েছে। জল জমা ঠেকাতে কী করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। সামনে পুজো, অথচ জলজমার কারণে বহু জায়গায় রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে, তা মেরামতিরও নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। এর সঙ্গে করোনা সংক্রমণ নিয়েও রাজ্য প্রশাসনিক বৈঠকে আলোচনা হবে। এই বৈঠকের জন্য জেলাশাসকদের তাঁদের জেলায় কাজের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করার জন্য নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।