বিমা বিল পাশ করাতে মরিয়া কেন্দ্র, রাজ্যসভায় আজ গোলমালের আশঙ্কা
সাধারণ বিমা আইনের সংশোধনীর জন্য আজ রাজ্যসভায় পেশ হতে চলেছে একটি বিল। গত সপ্তাহে হৈ-হট্টগোলের মধ্যেই লোকসভায় পাশ হয় এই বিল। সরকারি বিমা সংস্থায় বিলগ্নীকরণের সুযোগ আরও বাড়ল। সাধারণ বিমা ব্যবসা(জাতীয়করণ) আইন সংশোধনের জন্যই এই বিল পাশের উদ্য়োগ নেওয়া হয়েছে। তবে এনিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। সরকারি বিমা সংস্থাকে বেসরকারি লগ্নি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছিল।
বিমা বেসরকারিকরণের বিল আজ রাজ্যসভায় কার্যসূচিতে আছে। বিরোধীরা জানিয়ে দিয়েছেন, বিমা বিল পাশ করানোর চেষ্টা হলে রাজ্যসভায় বড় রকমের গোলমাল হতে পারে। সকাল সকাল টুইট করে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন জানিয়েছেন, গায়ের জোরে বিমা বিল রাজ্যসভায় পাশ করানোর চেষ্টা হলে বিরোধীরাও নিজেদের আসনে বসে ললিপপ চুষবে না। কোনও নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। যেভাবে আমরা কৃষি বিলের বিরোধিতা করেছিলাম, আজও তাই করব।
উল্লেখ্য, পেগাসাস নজরদারি, কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না দেখে বিরোধী দলের সাংসদরা আজ অন্যান্য বিল নিয়ে আলোচনায় শামিল হয়ে কৌশলে পেগাসাস, কৃষি আইনের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের মাইক্রোফোন বন্ধ করে লোকসভা বা রাজ্যসভায় অন্য বক্তাকে ডাকা হয়েছে। আর বিরোধীদের বিক্ষোভের সুযোগ নিয়ে আলোচনা ছাড়াই একের পর এক বিল পাশ করিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু ডেরেকের টুইট থেকেই বোঝা যাচ্ছে, আজ তেমনটা হতে দেবে না বিরোধী শিবির।
২০২০-৪ নভেম্বর মাসে কৃষি বিল পাশ করানো নিয়ে রাজ্যসভায় ধুন্ধুমার হয়। বিরোধীদের বিক্ষোভ উপেক্ষা করেই, নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে বিতর্কিতভাবে ‘পাশ’ হয় বিলগুলি। বহিষ্কার করা হয় ৬ জন বিরোধী সাংসদকেও। মনে করা হচ্ছে, আজ রাজ্যসভায় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে।