শীঘ্রই বাড়তে চলেছে চা শ্রমিকদের মজুরি, ইঙ্গিত মন্ত্রীর
চা বাগান শ্রমিকদের জন্য এবছরেই সুখবর আসতে চলেছে। শীঘ্রই বাড়তে চলেছে শ্রমিকদের মজুরি। মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে তাদের দীর্ঘদিনের দাবির কথা বিবেচনা করতে সক্রিয় হয়েছে শ্রমদপ্তর। সোমবার চা বাগান মালিকদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসে স্বয়ং শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। ২৪ আগস্ট তিনি ফের মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা করবেন। তারপর মজুরি সংক্রান্ত পরামর্শদাতা কমিটি বৃদ্ধির বিষয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা বলবে ৩১ আগস্ট। কমিটি পরে আরও কয়েক দফা আলোচনার পর তাদের সুপারিশ জমা দেবে মন্ত্রীকে। সেই সুপারিশকে সামনে রেখে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে দফাওয়ারি বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে।
মঙ্গলবার শ্রমমন্ত্রী এই সুখবর জানিয়ে বলেন, আলোচনার সব ধাপ মসৃণভাবে এগলে পুজোর পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হতে পারে। সেক্ষেত্রে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে নতুন মজুরি কার্যকর করা সম্ভব হবে। আমি এবিষয়ে মালিক ও শ্রমিকপক্ষের সকলের সহযোগিতা চাইছি। সবাই যাতে ইগো দূরে সরিয়ে খোলা মনে এবং বাস্তব পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আলোচনায় অংশ নেন তাহলে প্রায় তিন লক্ষ চা শ্রমিক ও কর্মচারীদের বর্ধিত মজুরি বা বেতনের পাওয়ার পথ খুলে যাবে।
দিন কয়েক আগে শ্রমদপ্তরের উত্তরবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত কমিশনার মহম্মদ রিজওয়ান চা বাগানগুলির স্টাফ ও সাব-স্টাফদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলির নেতৃত্বের সঙ্গে অনলাইন বৈঠক করেন। তার আগে উত্তরবঙ্গ সফরের সময় মন্ত্রীর সঙ্গে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কর্মরত বাগান শ্রমিকদের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে কথা হয় সংগঠনগুলির। সেখানেও প্রধান আলোচ্য ছিল নয়া মজুরি চুক্তি প্রণয়নের প্রসঙ্গ। এই দুই বৈঠকের নির্যাসকে সামনে রেখে সোমবার কলকাতায় মন্ত্রী নিজে বাগান মালিকদের সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এই বৈঠকেই মন্ত্রী স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন, শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি বা বেতন বৃদ্ধি নিয়ে আর কালক্ষেপ করতে তিনি রাজি নন। মালিক সংগঠনগুলিও এই উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে একমত হয়। বৈঠকে মন্ত্রী এবং রিজওয়ান ছাড়াও শ্রমসচিব বরুণ রায়, ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের অরিজিৎ রাহা, টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার প্রবীর ভট্টাচার্য, দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনের সন্দীপ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ হাজির ছিলেন।