প্রবল চাপে পড়ে এবার নাড্ডার দরবারে হাজির ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব
প্রবল চাপে পড়ে এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার (JP Nadda) দরবারে হাজির হলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। সে রাজ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তা কমব্যাট করতে হিংসার রাস্তা ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Deb)। তা দলের মুখ পুড়েছে। এমনকী সংগঠন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। তাই সাঁড়াশি চাপে পড়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে নয়াদিল্লি যাচ্ছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, বুধবার বিকেলে নয়াদিল্লি যাবেন বিপ্লব দেব। সেখানেই তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, আগে থেকে ঠিক হয়ে থাকা বৈঠকেই যোগ দিতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আইপিএফটি ইস্যু নিয়ে কথা বলতে পারেন জেপি নড্ডা। কিন্তু দলেরই একটা অংশ জানাচ্ছে, এখানে তৃণমূল কংগ্রেস যে মেজাজ দেখাল তাতে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সেটা সামলাতেই নয়াদিল্লি যাচ্ছেন।
এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কী মুখ্যমন্ত্রী পদে পরিবর্তন আনতে চলেছে গেরুয়া শিবির? দলের অন্দরে বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ এই প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় হয়ে ওঠা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপে রয়েছেন বিপ্লব দেব। আবার চাপ বাড়ছে আইপিএফটি’র সঙ্গে জোট নিয়ে। এপ্রিল মাসেই ত্রিপুরায় উপজাতি অধ্যুষিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজেপি–আইপিএফটি জোটের পরাজয়ের কারণেও অসন্তুষ্ট দলের শীর্ষর্কতারা।
আইপিএফটির একাধিক নেতা আগেই জানিয়েছিলেন, তারা উপজাতি অধ্যুষিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে একাই লড়তে চান। শেষ পর্যন্ত জোটে লড়লেও নতুন দল তথা ত্রিপুরা রাজ পরিবারের উত্তরসূরী প্রদ্যোত দেববর্মনের দল তিপরা ২৮টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে জয়লাভ করে। বিজেপি–আইপিএফটি জোট পায় মাত্র ৯টি আসন। এই নিয়ে চোরাস্রোত তৈরি হয়েছে। গত ১৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। তবে তা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল বলেই তিনি জানিয়েছিলেন। তখনও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গেও দেখা করেন তিনি।