হিমাচল প্রদেশে ফের ধস, মৃত ১০
মাত্র সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধান। তার মধ্যেই ফের একবার ভয়ঙ্কর ভূমিধসের (landslide) কবলে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) কিন্নর জেলা। মৃত্যু হল অন্তত ১০ জনের। বুধবার দুপুর ১২টা ৪৫ নাগাদ রেকং পেও থেকে শিমলা যাওয়ার পথে ৫ নম্বর জাতীয় সড়কে নেগুলসারির কাছে ধস নামে। সেই সময়েই একটি ট্রাক, একটি সরকারি বাস এবং অন্য বেশ কয়েকটি গাড়ি যাচ্ছিল। প্রবল ধসের জেরে বোল্ডার ও পাথরের স্তূপের নীচে গাড়িগুলি আটকে রয়েছে। আহত অবস্থায় ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে বেশ কিছু গাড়ি সহ প্রায় ২০ জন আটকে রয়েছেন বলে খবর। সরকারি রিপোর্ট বলছে, প্রায় ৪০ জন যাত্রীকে নিয়ে বাসটি মুরাং থেকে হরিদ্বারের উদ্দেশে যাচ্ছিল। ধসের নীচে আটক ব্যক্তিদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রশাসনের।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি খোঁজখবর শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। উদ্ধারকাজ নিয়ে হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পিএমও ট্যুইটে জানিয়েছে, রাজ্য সরকারকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দো টিবেটান বর্ডার পুলিসকেও (আইটিবিপি) উদ্ধারকাজে নামার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর জানান, উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান শুরু করতে ইতিমধ্যেই জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দল পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে তিনি স্বয়ং ঘটনাস্থলে যাবেন।
রাজধানী শহর সিমলা থেকে ২১০ কিলোমিটার দূরে এদিনের দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্যোগস্থলের প্রতিকূল আবহাওয়াই এখন উদ্ধারকাজে সবচেয়ে বড় বাধা। কিন্নরের ডেপুটি কমিশনার আবিদ হুসেন সাদিক বলেন, ‘উদ্ধারকাজের জন্য দক্ষ টিম প্রস্তুত রয়েছে। তবে খারাপ আবহাওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে। যদিও আইটিবিপি, পুলিস এবং হোম গার্ডের যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।’ এর আগে গত ২৫ জুলাই কিন্নরের বাতসেরিতে পর্যটকদের একটি বাসের উপর ধস নামে। ঘটনায় ন’জনের মৃত্যু হয়েছিল। লাগাতার বৃষ্টির জেরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই হিমাচলের নানা জায়গায় ধস নামছে। চলতি মরশুমে বেশ কয়েকটি ধসের ভিডিও ভাইরাল হয়। শিরমৌরে ক’দিন আগেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল গোটা রাস্তা।