রাজ্যে তথ্য-প্রযুক্তি প্রকল্প শুরু করতে চলেছে ইনফোসিস
এবার রাজ্যে ইনফোসিস (Infosys) তাদের প্রস্তাবিত তথ্য-প্রযুক্তি প্রকল্প শুরু করতে চলেছে। আর তাতেই বিপুল বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান হতে চলেছে। সেইসঙ্গে আরও কয়েকটি তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাও রাজ্যে দ্রুত তাদের কাজ শুরু করতে চায়। বুধবার শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, রাজ্যে যেহেতু ডেটা সেন্টার তৈরির জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে একাধিক সংস্থা, তাই আলাদা করে ডেটা সেন্টার পলিসি তৈরি করা হবে।
নিউটাউনে তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক গড়ার জন্য ৭৫ কোটি টাকায় ৫০ একর জমি নিয়েছিল ইনফোসিস। কিন্তু তারপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তারা সেই প্রকল্পে হাত দেয়নি। বেশ কিছু দাবিদাওয়া ও প্রশাসনিক কারণে তা থমকে থাকে। অবশেষে তা আশার আলো দেখতে চলেছে। তারা ইতিমধ্যেই সেই জমিতে পাঁচিল তুলেছে। তাদের প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে এদিন জানান পার্থবাবু। তিনি বলেন, রাজ্যের তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে একযোগে জায়গা দিতে ২০০ একরের যে সিলিকন ভ্যালি তৈরি হয়েছে, তাতে এখনও পর্যন্ত ৩৯টি সংস্থা জমি নিয়েছে। সেখানে কীভাবে দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্পগুলি চালু করা যায়, তার জন্য সবরকমের চেষ্টা করা হবে। শিল্প ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই রিলায়েন্স এই সিলিকন ভ্যালিতে যে ৪০ একর জমি নিয়েছিল, সেখানে কাজ শুরু করছে তারা।
পাশাপাশি ডেটা সেন্টার গড়ার জন্য সিটিআরএল লিমিটেড এবং ইয়োটা লিমিটেড নামে দু’টি সংস্থা জমি চেয়েছে। তাদের সঙ্গে শীঘ্রই মউ চুক্তি হবে। যেহেতু ডেটা সেন্টারের চাহিদা বাড়ছে, তাই আলাদা করে পলিসি আনবে সরকার, জানিয়েছেন পার্থবাবু। তার খসড়া তৈরি হবে শীঘ্রই। পাশাপাশি নিউটাউনে আইটিসি ইনফোটেক তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করবে বলে দাবি করেছেন তিনি। সোনারপুরের হার্ডওয়্যার পার্কে মাইক্রোওয়েভ সলিউশনও বিনিয়োগ করবে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ওয়েবেলের যে আইটি পার্ক আছে, সেখানেও ৮৮টি মডিউলে জায়গা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে নানা সংস্থা, জানিয়েছেন পার্থবাবু। সেখানে দু’হাজার কর্মসংস্থান হওয়ার কথা। এই প্রস্তাবগুলি মিলিয়ে বিনিয়োগ কত হবে? সরাসরি এই বিষয়ে মুখ খোলেননি মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রস্তাব বাস্তবায়িত না-হলে আগে থেকে সেই অঙ্কের হিসেব সামনে আনা ঠিক নয়।
এদিন তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পের ১২৫ জন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন পার্থবাবু। সেখানে তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পে ইনসেন্টিভ দেওয়া থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ খরচ কমানোর বিষয়ে আবেদন জানানো হয় শিল্প সংস্থাগুলির তরফে। পার্থবাবু বলেন, এছাড়াও শিল্প গড়তে কিছু সমস্যার কথাও জানানো হয়েছে আমাকে। আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করব।