এবার গৃহ-পরিচারিকাদের আধুনিক মেশিন চালানোর প্রশিক্ষণ দেবে শ্রম দপ্তর
কাপড় দিয়ে ঘর মোছার চল এখন বহু বাড়িতেই আর নেই। বদলে এসেছে যন্ত্র। ফ্ল্যাট বাড়িতে ওয়াশিং মেশিনেই এখন কাপড় কাচা হয়। গৃহস্থের কাজকর্মে আরও অনেক আধুনিক প্রযুক্তির মেশিন এসে গিয়েছে। কিন্তু অনেক গৃহ পরিচারিকা (House Help) সেসব ব্যবহার করতে অভ্যস্ত নন। তাই তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির শুরু করল শ্রমদপ্তর (Department of Labour Welfare)। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এই শিবির শুরু হল বারুইপুরে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতে বাছাই করা কিছু জায়গায় এই প্রশিক্ষণ শিবির হবে বলে এদিন মন্ত্রী জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, আগামী দিনে ধাপে ধাপে শিবিরের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। একেক জন পরিচারিকাকে তিনদিন ধরে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তার জন্য প্রতিদিন ২৫০ করে মোট ৭৫০ টাকা ভাতা হিসেবে দেওয়াও হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনদিনে ১২ ঘণ্টা হবে এই প্রশিক্ষণ। করোনা সংক্রমণের জন্য এই প্রশিক্ষণ শিবির বন্ধ ছিল এতদিন। পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূল হতেই ফের তা চালু করা হল। বিগত আট বছরে প্রায় ৪০ হাজার গৃহপরিচারিকাকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এবারে যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, তাতে আরও হাজার খানেক পরিচারিকার দক্ষতা বৃদ্ধির ক্লাস নেওয়া হবে।
কী কী শেখানো হবে তাঁদের? দপ্তর জানিয়েছে, গৃহস্থালীর নিত্য ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জামের সঠিক ব্যবহার, প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিধি, শিষ্টাচার ও ব্যবহারিক ভদ্রতা, ব্যাঙ্ক পরিষেবা নিয়ে প্রাথমিক জ্ঞান ইত্যাদি। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের শংসাপত্র দেওয়া হবে এবং এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক পোর্টালে নাম নথিভুক্তও করা হবে। অনুষ্ঠানে অতিথিরা গৃহ পরিচারিকাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। অধ্যক্ষ বলেন, গৃহ পরিচারিকা ছাড়া আমাদের জীবন চলে না। তাঁরা একদিন না এলে অফিস, স্কুলে যাওয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। স্থানীয় বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সভাধিপতি শামিমা শেখও গৃহ পরিচারিকাদের গুরুত্ব তুলে ধরেন।