নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল নভেম্বর পর্যন্ত
নন্দীগ্রাম মামলা (Nandigram Case) হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিমকোর্টে স্থানান্তরের আবেদন জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি ছিল। শুভেন্দু আইনজীবী আদলতে বলেন, এই মামলাটি স্থানান্তরের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। এর পর বিচারপতি শম্পা সরকার বলেন, যেহেতু সুপ্রিমকোর্টে এই মামলাটি পেন্ডিং রয়েছে, তাই আমি মামলার শুনানি দু’মাস পরে রাখছি। এর মধ্যে সব পক্ষ হলফনামা জমা দেবে। পরবর্তী শুনানি ১৫ নভেম্বর।
২ মে বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিন প্রথমে দেখা যায়, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandapadhaya) জিতে গিয়েছেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, গণনা বাকি রয়েছে। এরপর বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) জয়ী ঘোষণা করা হয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২১ মে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে প্রথমে মামলাটি ওঠে। কিন্তু প্রতিবাদ জানানো হয় তৃণমূলের তরফে। তাঁদের দাবি, বিচারপতি চন্দকে বিজেপির বহু সভায় দেখা গিয়েছে। মামলায় পক্ষপাতিত্ব করা হবে। ২৪ জুন হাইকোর্টে +Calcutta High Court) বিচারপতি চন্দ’র বেঞ্চে নন্দীগ্রাম-মামলা অন্য এজলাসে স্থানান্তর করার আবেদন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে ভার্চুয়ালি সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি৷
ওই দিনের শুনানি পর্বে এজলাসে ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ ৭ জুলাই হাইকোর্টে বিচারপতি চন্দ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) এজলাস-বদলের আবেদনের রায় ঘোষণা করে জানান, তিনি নন্দীগ্রাম- মামলা থেকে সরে যাচ্ছেন৷ তাঁর এজলাসে এই মামলার শুনানি হবে না৷ ওই মামলা ফেরত পাঠানো হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে৷
রায় ঘোষণার আগে পর্যবেক্ষণে বিচারপতি জানিয়েছিলেন, “সংশ্লিষ্ট মামলায় আমি দু’তরফের কাউকেই ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। তা সত্ত্বেও আদালতের ভিতরে এবং বাইরে আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে প্রতিবাদ সংগঠিত করা হয়েছে৷ এই ধরনের কাজ সঠিক নয়।আইনজীবী হিসাবে যে কোনও আইনজীবী যে কোনও মামলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। সেটা তাঁর পেশাগত বিষয়৷”