কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

এই মাসেই চালু হচ্ছে কালীঘাট স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ

August 14, 2021 | 2 min read

বছর তিনেকের টানাপোড়েনের অবসান। অবশেষে শুরু হতে চলেছে কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ(Kalighat skywalk)। সবকিছু ঠিকঠাক চললে চলতি মাসের শেষেই কালীঘাট মন্দিরের মূল প্রবেশপথের দোকানপাট, নির্মাণগুলি ভাঙার কাজ শুরু হয়ে যাবে। মূল কাজ শুরু হতে অবশ্য আরও মাসখানেক লাগবে। শুক্রবার থেকে হকার্স কর্নার এবং ফুটপাতের দোকানদারদের কালীঘাট মন্দিরের সামনের রাস্তা থেকে হাজরা পার্কে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। 

কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে কালীঘাটে স্কাইওয়াকের পরিকল্পনা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের নির্দেশে দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াকের আদলে কালীঘাটেও ‘আকাশপথ’ নির্মাণের পরিকল্পনা নেয় কলকাতা পুরসভা। কিন্তু নানা জটিলতায় কাজ বারবার আটকে গিয়েছে। হাজরা পার্কে ১৭৪ জন হকারকে অস্থায়ী দোকানও তৈরি করে দেয় পুরসভা। কিন্তু লটারির মাধ্যমে স্টল বণ্টন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কয়েকজন হকার। কালীঘাটে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে সেই জট কাটান পুরসভার বর্তমান প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম এবং রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার।

হকারদের বক্তব্য ছিল, মন্দির সংলগ্ন অঞ্চল থেকে হাজরা পার্কে তাদের সরানো হলেও সেখানে বাজার জমবে না। পেট চালানোই দায় হয়ে পড়বে। দিলীপকুমার দাস নামে এক হকার বলেন, আমরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৫ হাজার টাকা দাবি করেছিলাম। কিন্তু পুরসভা সেটা দেয়নি। তবে জিনিসপত্র সরাতে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। নতুন জায়গায় প্রথম কয়েকমাস হয়তো কেনাবেচা কিছুটা কম হবে। ধীরে ধীরে তা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করছি। হকারদের দাবি প্রসঙ্গে ফিরহাদ জানিয়েছেন, বহুদিনের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হতে চলেছে। স্কাইওয়াক নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে এই এলাকার চেহারাই পাল্টে যাবে। হাজরা পার্কের অস্থায়ী মার্কেট নিয়ে পুরসভাই শহরজুড়ে প্রচার করবে। প্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার লাগিয়ে মানুষকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি আগামী বছর পুজোর আগেই স্কাইওয়াকের একাংশের কাজ শেষ করে শপিংমলের আদলে  হকার্স কর্নার করে দেওয়ার চেষ্টা থাকবে আমাদের। 

উল্লেখ্য, প্রায় ৩৫০ মিটার দীর্ঘ এবং ১০ মিটার প্রশস্ত ওই স্কাইওয়াক নির্মাণের জন্য প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের নকশা ও অন্যান্য কাজ সম্পূর্ণ করে জমা দিয়েছে রাইটস। এবার স্কাইওয়াক নির্মাণ শুরুর অপেক্ষা। কালীঘাট মন্দির লাগোয়া দোকানদারদের সরিয়ে পার্শ্ববর্তী চাতালেই জায়গা করে দেওয়া হয়েছে।  মন্দিরের প্রবেশপথের হকার্স কর্নার ও ফুটপাতের হকারদের জন্য হাজরা পার্কে অস্থায়ী মার্কেট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। দেবাশিস কুমার বলেন, দিন সাতেকের মধ্যে হকারদের স্থানান্তরের কাজ শেষ হবে। চলতি মাসের শেষেই স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজে আমরা হাত দেব।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kalighat Skywalk

আরো দেখুন