ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে বিজেপি: তৃণমূল
২০২৩ শে ত্রিপুরায় (Tripura) বিধানসভা নির্বাচন জিততে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল (Trinamool) শীর্ষ নেতৃত্ব। ত্রিপুরায় দলের সংগঠন বাড়াতে এবং জনসংযোগ তৈরিতে ত্রিপুরায় রয়েছেন তৃণমূলের একঝাঁক সাংসদ এবং বাংলার মন্ত্রীরা। বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরাতেও আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৬ আগস্ট হবে ‘খেলা হবে’ দিবস। পড়শি রাজ্য ত্রিপুরাতে খেলা হবে দিবস পালনের যাবতীয় উদ্যোগ নেবেন ব্রাত্য বসু, শান্তনু সেন, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়রা। ত্রিপুরায় বসেই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। ব্রাত্য বসুর কথায়, ‘আমাদের নেত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ধমকিয়ে চমকিয়ে ভয় দেখানো যাবে না।’ ‘ত্রিপুরায় নৈরাজ্য চলছে’, দাবি কাকলি ঘোষ দস্তিদারের। ‘ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে বিজেপির সরকার’, এমনটাই জানালেন শান্তনু সেন।
এ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলায় বিপুল ভোটে হেরেছে বিজেপি। প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে বিজেপি। মমতা ব্যানার্জিকে ধমকিয়ে চমকিয়ে ভয় দেখানো যাবে না। ত্রিপুরার মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করবে তৃণমূল। আর তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মার খাচ্ছে অথচ সিপিএমের নেতা-কর্মীরা কোনও প্রতিবাদ করছে না।’
কাকলি ঘোষ দস্তিদারের কথায়, ‘ত্রিপুরায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি। বিনা কারণে বিজেপির সরকার ছাত্রীদের উপর পুলিশি হেনস্থা করছে। কর্মহীন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলন জারি রাখার বিষয়ে সমর্থন রয়েছে। আন্দোলনকারীদের পাশে রয়েছে তৃণমূল।’
ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন (Santanu Sen)। শান্তনু সেন বলেন, ‘কোভিড বিধি ভাঙার অভিযোগ আনা হচ্ছে অভিষেক ব্যানার্জি সহ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। অথচ থানার বাইরে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত করল কিন্তু বিপ্লব দেবের পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিল না। ত্রিপুরাবাসী বিজেপির এই দ্বিচারিতা মেনে নেবে না।’
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের গলায় উঠছে স্লোগান ‘খেলা হবে, খেলা হবে ত্রিপুরাতে খেলা হবে, ত্রিপুরা কইতাসে মমতা দি আইতাসে।’