স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কালে গো–ব্যাক স্লোগান শুনলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) উপলক্ষ্যে টুইট করেছেন, ‘দেশটা সবার নিজের’। এটা অবশ্য তাঁর গানের লাইন। কিন্তু আজই দেখা গিয়েছে স্বাধীনতা দিবসে শহিদ বেদীতে মালা দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar)। ঘটনাটি ঘটেছে ভীমপুর থানার পোড়াগাছা এলাকায়। রবিবার স্বাধীনতা সংগ্রামী বসন্ত বিশ্বাসের মূর্তিতে মাল্যদান করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘গো–ব্যাক’ স্লোগানের মুখে পড়েন তিনি বলে অভিযোগ।
এদিন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বসন্তকুমার বিশ্বাসের বসতভিটেতে যান তিনি। সেখানে গিয়ে চার শহিদের মূর্তিতে মাল্যদান করতে যান সাংসদ জগন্নাথ সরকার। অভিযোগ, তখন মাল্যদান করা থেকে তাঁকে বাধা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। তা নিয়ে বচসা বাধলে সাংসদের উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেন তাঁরা বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি শান্ত করতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকেরা বলে অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এই বিষয়ে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘যাঁরা হামলা করেছেন তাঁদের মন্ত্রী শহিদ পরিবারের ছেলে। কিন্তু, সেই পরিচয় মন্ত্রী যে ভুলে গিয়েছেন তা স্পষ্ট। রাজ্যের মন্ত্রীর পূর্বজ বলেই কি বিপ্লবীর প্রতি সম্মান জানানো যাবে না? এই ধরনের ঘটনা লজ্জার।’ উল্লেখ্য, রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসেরই পূর্বজ স্বাধীনতা সংগ্রামী বসন্ত কুমার বিশ্বাস।
এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর বাড়িতে থাকেন বসন্তকুমার বিশ্বাসের ভাইপো মনোজিৎ ও তাঁর স্ত্রী৷ বসন্তকুমার বিশ্বাসের বেদি যাঁরা দেখতে আসেন, তাঁদের সেখানেই বসতে দেওয়া হয়। কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের কথায়, ‘আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ওখানে রাস্তা বানিয়ে দিয়েছি। আমি নিজেও উদ্যোগ নিয়ে পুরনো বাড়ি মেরামত করার চেষ্টা করেছি। শুধুমাত্র একার উদ্যোগে সবকিছু করা সম্ভব নয়। যেহেতু তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন তাই সাধারণ মানুষের উচিত তাঁকে সম্মান জানিয়ে স্মৃতি আগলে রাখার। যত্ন নেওয়ার।’ বিজেপি সাংসদের বাধার মুখে পড়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজ্যের কারামন্ত্রী।