আফগানিস্তানে তালিবান আগ্রাসন, ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2021/08/PicsArt_08-17-04.05.55-1024x570.jpg)
Afghanistan-এ তালিবান আগ্রাসন নিয়ে এবার ভারত সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করল অন্যতম বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তালিবান (Taliban) ইস্যুতে শুধু রুটিন বিবৃতি দিয়েই কেন থেমে ভারত সরকার? কেন্দ্রের ভূমিকা আরও সক্রিয় হওয়া উচিত বলেই মনে করছে এ রাজ্যের শাসকদল।
‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে তালিবান নিয়ে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। আন্তর্জাতিক স্তরে তালিবানদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে কেন্দ্রের সরকারের ভূমিকা আরও কড়া ও শক্তিশালী হওয়া উচিত বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। ওই সম্পাদকীয়তে তৃণমূলের (TMC) বক্তব্য, “ভারত সরকার কেন রুটিন বিবৃতি দিয়ে থেমে যাবে? আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় আওয়াজ তুলুক ভারত, এত অস্ত্র তালিবানরা পাচ্ছে কী করে? আধুনিক সমরাস্ত্র তো তারা তৈরি করছে না? সেই অস্ত্রসম্ভার তালিবানদের হাতে কী করে যাচ্ছে?” তৃণমূলের তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, “ভারত যদি এখন থেকেই এ বিষয়ে প্রশ্ন না তোলে, কড়া অবস্থান না নেয়, বিশ্বের দরবারে চাপ না বাড়ায়, তাহলে ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের তালিবানদের শাখাপ্রশাখা আমাদের অস্থিরতা তৈরির চক্রান্ত শুরু করবেই।”
বস্তুত, তালিবান (Taliban) শাসিত আফগানিস্তানের (Afghanistan ) ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান গ্রহণ যে অত্যন্ত কঠিন সেবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এর আগের সরকারের সঙ্গে ভারতের অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। বর্তমান তালিবান শাসনকে ভারত সরকার কী ভাবে দেখবে তা নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ঠিক হলেও, তালিবানের সঙ্গে ‘ব্যাকচ্যানেল’ আলোচনার রাস্তা খোলা রাখার প্রক্রিয়া আগে থেকেই শুরু করে দেওয়া হয়েছিল বলেই বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর। ভারত সরকার ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আফগানিস্তানের পরিস্থিতির উপর ভারত নজর রাখছে। আপাতত সেখানে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনাই ভারত সরকারের প্রধান লক্ষ্য। আফগানিস্তান নিয়ে ভারত যে খুব ভেবে চিন্তে অবস্থান ব্যক্ত করতে চাইছে এই বিবৃতিতে তা স্পষ্ট। তবে, সরকারের এই ধীরে চলার নীতি না পসন্দ তৃণমূলের। তাদের বক্তব্য, সরকারের আরও সক্রিয় অবস্থান নেওয়া উচিত। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, শুধু প্রশ্ন তোলা নয়, এক্ষেত্রে দেশের মূল বিরোধী দল হিসাবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।