বিনা শর্তে তৃণমূলে যোগদান করেছি, প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে বললেন সুস্মিতা
সোমবারই কংগ্রেসকে বিদায় জানিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী তথা অসমের শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব (Sushmita Dev)। তিনি অসমের দিকপাল কংগ্রেস নেতা সন্তোষমোহন দেবের কন্যা। ২০১৪ সালে কংগ্রেসের টিকিটে শিলচর থেকে সাংসদ হয়ে সবার নজর কেড়েছিলেন। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর আজ দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
দেখে নিন কী বললেন সুস্মিতা:
১.৫৫: তৃণমূল দল ভাঙে না। কিন্তু কোন দলের যোগ্য নেতা যদি দলে আসতে চায় আমরা নেব। আমরা রাজনৈতিক দল। আর সেই রকম সিদ্ধান্তই নেব: ডেরেক ও ব্রায়েন
১.৫১: ২০ আগস্ট সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। সাংসদেও দেখেছেন কিভাবে বিরোধীরা একসাথে কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য এক। আমরা বাংলায় বিজেপিকে আটকেছি। এই কারণেই সুস্মিতার মতো যুব নেত্রী আমাদের দলে এসেছেন। বলেছেন আপনারা যদি পারেন আমরাও পারব না কেন?: ডেরেক ও ব্রায়েন
১.৪৮: এক ব্যক্তি এক পদ নীতি সবার জন্যে লাঘু। আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর একমাত্র ব্যতিক্রম। উনিও এই নীতি মানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম উনি আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা উনি আমাদের নেত্রী থাকুন: ডেরেক ও ব্রায়েন
১.৪৪: আসাম, ত্রিপুরা বা ভারতের জন্য দল কি ভাবছে আমরা তা পরে ভাবব। তৃণমূল কংগ্রেসেই প্রথম প্রথা ভেঙে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি লাঘু রয়েছে।
১.৪৩: তৃণমূল কখনও দল ভাঙে না। কিন্তু যোগ্য, পরিশ্রমী মানুষরা যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় কাজ করতে চায় আমরা তাদের স্বাগত জানাই: ডেরেক ও ব্রায়েন
১.২৮: আমার কাজটা একই থাকবে। দলটা বদলে গেছে। আমার দেশের মানুষের প্রতি আমি দায়বদ্ধ। আমার সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর সাথে সম্পর্ক কখনও খারাপ হবে না। ওনাদের আমি শ্রদ্ধা করি। কয়েক দশকের ওনাদের নেতৃত্বকে আমি অসম্মান করতে পারি না। আমি আদর্শগতভাবে ঠিক থাকতে চেয়েছি। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আমার কোন ক্ষোভ নেই।
১.২৬: আমি কখনও সংবিধান এবং মানবাধিকারের বাইরে কথা বলিনি। সিএএ নিয়ে আমি চিঠিও লিখেছিলাম। আমি জানিনা আমি কী ভাবতাম আর ভোটের আগে মানুষকে কী বোঝানো হত।
১.১৫: আমি যখন ২০০৬ সালে প্র্যাক্টিস করছিলাম তখন ২৬ দিনের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনশন করছিলেন। একজন মহিলার পক্ষে যে ঘটনা বিরল।
১.১৪: আমি যখন সংসদে ছিলাম বাম দিকে তাকিয়ে দেখতাম সবচেয়ে বেশি মহিলা সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসে। যা অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক।
১.১৩: আমি মাত্র ২৪ ঘন্টা তৃণমূলে যোগদান করেছি। কিন্তু আমি ওনার কাজ দেখেছি। সুশাসন কাকে বলে বাংলায় তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় করে দেখিয়েছেন।
১.১০: আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমি সংগঠন করতে ভালোবাসি। কংগ্রেস ছাড়ার কারণ আমি লিখিতভাবে সোনিয়া গান্ধীকে জানিয়েছি। উনি আশা করি আমাকে আশীর্বাদ করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার পরিবারের পূর্ব পরিচিত।
১.০৯: আমার প্রেরণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি ধন্য আমাকে উনি তৃণমূলে গ্রহণ করেছেন। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ ব্রায়েন আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন তাতে আমি ধন্য। আমি বিনা শর্তে তৃণমূলে যোগদান করেছি। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভরসা করি।
১.০৭: সকলকে ধন্যবাদ। ১৫ আগস্ট আমি লিখিতভাবে আমার পদত্যাগপত্র সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে পাঠিয়েছি।