শিল্পে আরও গতি আনতে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে তৈরি হল ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন বোর্ড
শিল্প করতে গেলে অনেক ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় শিল্পসংস্থার কর্তাব্যক্তিদের। কোথাও জমির সমস্যা, কোথাও বিদ্যুতের সংযোগের সমস্যা আবার কোথাও পরিবেশের ছাড়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। সেই ছাড়পত্র পেতে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে বেড়াতে হয়। হয়রানির শিকার হতে হয় তাঁদের। সেইসব সমস্যার সমাধান করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিব-মন্ত্রীদের নিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন বোর্ড (Industrial Promotion Board) তৈরি করল রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বোর্ড তৈরির সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়। যে বোর্ডের চেয়ারপার্সন হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও ওই বোর্ডের সদস্য হলেন অর্থ, শিল্প, ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও বস্ত্র, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, তথ্য-প্রযুক্তি, ভূমি, পর্যটন, বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী ও সচিবরা। এছাড়াও মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি এবং রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম এবং রাজ্য শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান। বোর্ডের সচিব হলেন শিল্পদপ্তরের সচিব।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই বোর্ডের মোট সদস্য হলেন ১৪ জন। তার মধ্যে পাঁচজন মন্ত্রী এবং সাতজন সচিব রয়েছেন। অনেক সময় দেখা যায়, বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়ের অভাবের অনেক কাজ থমকে যায়। কোথাও বিদ্যুতের সমস্যার জন্য বা কোথায় জমির সমস্যা জন্য শিল্পায়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়। শুধু শিল্প নয়, পর্যটন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পে গতি আনতে এই প্রমোশন বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। যেখানে নানা সমস্যা তুলে ধরা হবে, সব দপ্তরের সচিবের সামনেই সমাধান সূত্র বেরবে। এর ফলে শিল্পায়নে গতি বাড়বে। পর্যটন সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও গতি বাড়ার ফলে রাজ্যে প্রভূত উন্নতি হবে।
এদিন শিল্পমন্ত্রী জানান, রাজ্যে শিল্পায়নের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। করনোর কারণে গত দেড় বছরে অর্থনীতি খুবই ধাক্কা খেয়েছে। তবু আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। সেই লক্ষ্যেই নানা ধরনের শিল্পস্থাপনে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে। রাজ্যে ইস্পাত শিল্প স্থাপনের প্রস্তাব রয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ বাড়ছে। নিউটাউনের সিলিকনভ্যালিতে ২০০ একর জমির মধ্যে ১৬০ একর জমি নিয়েছে তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পসংস্থারা। এছাড়াও প্রখ্যাত তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস তাদের নির্মাণ শুরু করেছে। ২০ মাসের মধ্যে তাদের নির্মাণ শেষ হবে বলে জানিয়েছে। সেখানেও কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।